২৪ শে শ্রাবণ বাবা বর্ধমানেশ্বরের আবির্ভাব দিবসের প্রস্তুতি তুঙ্গে

নিজস্ব প্রতিবেদক:- মাঝে আর দুদিন। ২৪ শে শ্রাবণ বাবা বর্ধমানেশ্বরের আবির্ভাব দিবসের প্রস্তুতি তুঙ্গে। ওই দিন অগণিত ভক্ত দূর দূরান্ত থেকে বাঁকে করে জল নিয়ে এসে শিবের মাথায় ঢালবেন।দিনভর অগণিত ভক্তের সমাগম হবে মন্দির চত্বরে। সুষ্ঠভাবে সেই পর্ব সমাধা করতে যাবতীয় প্রস্তুতি চলছে। আবির্ভাব দিবসের  অনুষ্ঠান শান্তিপূর্ণ রাখতে বাড়তি পুলিশ মোতায়ন করা হবে বলে জানা গিয়েছে।বর্ধমানের আলমগঞ্জের এই বর্ধমানেশ্বর শিবকে বিশালতার কারণে অনেকে মোটা শিব বলে থাকেন। ১৯৭২ সালে এলাকায় একটি নির্মাণ কাজের জন্য মাটি কাটার কাজ চলছিল। সেই সময় হঠাৎই পাথরের গায়ে আঘাত লাগে গাঁইতির। কৌতূহল বাড়ে শ্রমিকদের। ধীরে ধীরে খোঁড়া হয়।এর পর সোন থেকে বেরিয়ে আসে বিশালাকার গৌরিপট্ট-সহ এই শিবলিঙ্গ। উচ্চতা প্রায় ছয় ফুট। ওজন ১৩ টনেরও বেশি। গোটাটাই একটি কালো পাথর নিপুনভাবে কেটে তৈরি। ক্রেনে করে তুলে পাশে স্থাপন করা হয় সেই শিব লিঙ্গ।কেউ কেউ বলেন, তিনটি হাতিকে কাজে লাগানো হয়েছিল এই শিবলিঙ্গ তুলে আনার জন্য। এখানে রয়েছে দুধ পুকুর। সেই পুকুরে স্নানের পর পুজো দেন ভক্তরা। শ্রাবণ মাসে পাওয়া গিয়েছিল, তাই সেই মাসে এই শিবের আবির্ভাব দিবস পালন করা হয়।এদিন হাজার হাজার পুণ্যার্থী গঙ্গা থেকে বাঁকে করে জল এনে শিবের মাথায় ঢালেন। শিবরাত্রিতে অগণিত ভক্তের ভিড় হয় মন্দিরে। মেলা বসে। কয়েকদিন ধরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আসর বসে।এই শিবলিঙ্গের প্রাচীনত্ব নিয়ে ইতিহাসবিদদের মনে কোনও দ্বিমত নেই। তবে ঠিক কত বছরের প্রাচীন তা নিয়ে প্রামান্য কোনও তথ্য নেই। অনেকের মতে, এই শিবলিঙ্গ প্রায় ১৬০০ -১৭০০ বছর আগে।কেউ বলেন, সম্রাট কনিষ্ক নিজে এই কালো শিবলিঙ্গের নিয়মিত পুজো করতেন। পরবর্তী সময়ে বন্যায় তা দামোদরে ভেসে আসে। তবে এত ভারি শিব লিঙ্গের পক্ষে নদীতে ভেসে আসার সম্ভাবনা নিয়েও ইতিহাসবিদদের মধ্যে দ্বিমত রয়েছে।