যার খুশিতে হাসে দেশ, যার দুঃখে কাঁদে দেশ তিনি নিজেই আজ সেনা প্যারেড দেখে কেঁদে ফেললেন

নতুন গতি ওয়েব ডেস্ক: মানুষ মাত্রই ভুল হয়, আর ভুলের জন্য ক্ষমা চাওয়া একটি মহৎ গুণ, তবে সবকিছু জেনে শুনেও যিনি ভুল করেন তাঁর ক্ষমা চাওয়াটা সাজে কি? উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম-জং উন তাঁর দেশের মানুষের ওপর যে দমনমূলক নীতির প্রয়োগ জারি রেখেছেন তা বিশ্বে নিন্দনীয়। সম্প্রতি উত্তর কোরিয়ায় আয়োজিত এক সেনা প্যারেডে কিমের চোখে জল দেখা গিয়েছে। এরপরই দুই দলে ভাগ হয়ে গিয়েছেন নেটিজেনরা। অনেকে বলছেন, কিম তাঁর ভুল বুঝতে পেরেছেন, অপর দলটি বলছে কুমিরের চোখে জল দেখে তাঁরা অভ্যস্ত! কিন্তু, ক্রন্দনরত কিমের ছবি দেখে অনেকেই বেশ অবাক হচ্ছেন। হঠাৎ কি এমন হল যে কিমের মতো একজন জাঁদরেল রাজনীতিবিদ সর্বসমক্ষে হাউমাউ করে কেঁদে ফেললেন? কিম নিজে কি বলছেন? জানা গেছে, সেনাদের আত্মত্যাগের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ আর নাগরিকদের জীবনের মান উন্নয়নে ব্যর্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়েছেন কিম জং উন। আর ঠিক সেসময়ই আবেগঘন হয়ে গিয়ে চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি তিনি। গত শনিবার দেশটির ক্ষমতাসীন পার্টির ৭৫তম প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানের এক ফুটেজে এই বিরল দৃশ্য দেখা গিয়েছে।

    সম্প্রতি দেশটিতে বিধ্বংসী ঝড় এবং করোনা-ভাইরাস মোকাবিলায় সেনা সদস্যদের ভূমিকার জন্য কৃতজ্ঞতা জানান কিম জং উন। কিম বলেন, নাগরিকদের জীবন মান উন্নয়নে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে করোনা-ভাইরাস মোকাবিলায় আরোপিত নিষেধাজ্ঞা, আন্তর্জাতিক অবরোধ এবং বেশ কয়েকটি ঘূর্ণিঝড়। বলেন, ‘দেশের মানুষের জীবনের সংকট মোচনে আমার তৎপরতা ও দায়িত্ববোধ যথেষ্ট ছিল না। এরপরও দেশবাসী আমাকে বিশ্বাস করে এবং আমার ওপর তাদের আস্থা রয়েছে।’ এই বক্তব্য রাখতে রাখতেই কিমের চোখের কোটর থেকে কয়েক ফোঁটা জল ঝরে পড়তে দেখা যায়। উল্লেখ্য, পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির কারণে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়ে উত্তর কোরিয়ার অর্থনীাতি বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। এরপর করোনা মোকাবিলায় প্রতিবেশীদের সঙ্গে সীমানা বন্ধ করে দেয় উত্তর কোরিয়া। রাষ্ট্রসংঘের মতে দেশটির ৪০ শতাংশ মানুষ খাদ্যসংকটে ভুগছেন।