|
---|
নতুন গতি: পশ্চিমবঙ্গ এমএসএমই ডেভেলপমেন্ট ফোরামের প্রেসিডেন্ট ডঃ (এইচসি) সিএস অ্যাডভোকেট মমতা বিনানীর দীর্ঘ ২৫ বছরের কর্ম জীবন সম্পন্ন ডেন্ট ডঃ (এইচসি) সিএস অ্যাডভোকেট মমতা বিনানী তাঁর ২৫ বছরের কর্ম জীবন সম্পন্ন করলেন। তাঁর এই বর্ণময় সাফল্যের কিছু খতিয়ান দেখে নেওয়া যাক এক নজরে।
১৯৯৬ সালে ইন্ডিয়া ইন্টারমিডিয়েট এক্সামিনেশন-এর ইনস্টিটিউট অফ কোম্পানি সেক্রেটারির পরীক্ষায় দেশের মধ্যে প্রথম হয়েছিলেন তিনি। ভারতের ইস্টার্ন ইন্ডিয়া রিজিওনাল কাউন্সিলের কোম্পানি সেক্রেটারিয়েটের চেয়ার পার্সন হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করার সুবাদে তিনি ‘ডি এল মজুমদার রৌপ্য পদক’ এবং ‘মৌজি রাম মেমোরিয়াল’ পুরস্কার পান। প্রথম কোম্পানি সেক্রেটারি হিসেবে কাজ করার দৌলতে ‘এক্সেলেন্স ইন প্রফেশনাল সার্ভিসে’স এর তরফে তিনি সম্মানীয় ‘ভারত নির্মাণ পুরস্কার’ও পেয়েছেন।
এছাড়াও বহু পুরস্কার রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। ‘তেজস্বীনি পুরস্কার’, ‘হ্যালো কলকাতা’, ‘কেকেএমইআরএস’, ‘বেস্ট প্রেসিডেন্ট পুরস্কার’, ‘লায়ন্স ক্লাব আন্তর্জাতিক জেলা ৩২২ব২’ ছাড়াও প্রথম ভারতীয় হিসেবে পেয়েছেন ‘আইডব্লিউআইআরসি উওমেন অফ দ্য ইয়ার ইন রিস্ট্রাকচারিং (এশিয়া) অ্যাওয়ার্ড ২০২১’। মিসেস বিনানী ২০২১এর ২৬ অক্টবর ১৫ তম ‘এশিয়ান বিজনেস এন্ড সোশ্যাল ফোরাম ২০২১ অ্যাওয়ার্ডস এন্ড বিজনেস ই সামিট’ -এর তরফ থেকেও সম্মানিত হয়েছেন ম্যারিয়ট মারকুইস হোটেল দুবাইয়ের এমিরেটস বল রুমে।
শ্রেষ্ঠ কাজের তালিকা :
ডঃ (এইচসি) সিএস অ্যাডভোকেট মমতা বিনানী ইনস্টিটিউট অফ কোম্পানি সেক্রেটারিয়েট অফ ইন্ডিয়ার প্রাক্তন জাতীয় সভাপতি ছিলেন ২০১৬ সালে। ২০১৭ সালের ১৯ জানুয়ারি তিনি সেই পদ থেকে পদত্যাগ করেন। ৫২ বছরের ওই প্রতিষ্ঠানের ইতিহাসে তিনি দ্বিতীয় মহিলা সভাপতি হিসেবে আসন অলংকৃত করেছেন। মিসেস বিনানী ‘কর্পোরেট গভর্ন্যান্স এন্ড সিএসআর’-এর ‘আইসিএসআই ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড ফর এক্সেলেন্স ২০১৬’ এবং ‘দ্য ইনস্টিটিউট অফ ডিরেক্টর্স’-এর ‘দ্য গোল্ডেন পিকক অ্যাওয়ার্ড ২০১৬’, ‘কমান্ডেবল সিএসআর অ্যাক্টিভিটি’ র ‘অ্যাসোচেম অ্যাওয়ার্ড ২০১৬’ র জুরি মেম্বার ছিলেন। কলকাতা ন্যাশনাল কোম্পানি ‘ল ট্রাইব্যুনাল বার অ্যাসোশিয়েশনের সহ সভাপতি ছিলেন। মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্স- লিগ্যাল অ্যাফেয়ার্স কাউন্সিল-এর চেয়ারপার্সন, এবং ইনসোল ইন্ডিয়ার কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য, ইন্টারন্যাশনাল উওমনেন্স ইনসল্ভেন্সি এন্ড রিস্ট্রাকচারিং কনফেডারেশন (আইডব্লিউআইআরসি)-এর বোর্ড সদস্য এবং বর্তমানে ইন্ডিয়া নেটওয়ার্ক-এর কো চেয়ার হিসেবে আসন অলংকৃত করছেন।
দেশের বেশ কিছু স্বাবলম্বী স্বনামধন্য কোম্পানির বোর্ড-এর ডিরেক্টর হিসেবেও কাজ করছেন মিসেস বিনানী। সেঞ্চুরি প্লাই, বলরামপুর চিনি মিলস, ইমামি লিমিটেড এবং এমন আরও কিছু কোম্পানির উচ্চপদে আসীন রয়েছেন তিনি। মিসেস বিনানী মনে করেন, সরকার ইঞ্জিনের মত সব চালনা করে এবং সেই কাজে সরকারকে সাহায্য করাই একজন সদস্য হিসেবে তাঁর কাজ, যাতে সরকারের কাজ জনসাধারণের কাছে লক্ষ্যণীয় হয়ে ওঠে। দীর্ঘ ২১ বছর ধরে তিনি কোম্পানি সেক্রেটারি হিসেবে কাজ করেছেন এবং মমতা বিনানী এন্ড অ্যাসোসিয়েটস-এর বরিষ্ঠ অংশীদার হিসেবেও কাজ করেছেন। পুনে, কলকাতা এবং চেন্নাইতে তাঁর অফিস রয়েছে। বর্তমানে তিনি অ্যাডভোকেট হিসেবে প্র্যাকটিস করছেন। পুনর্গঠন (রিস্ট্রাকচারিং), কর্পোরেট এবং আইনি বিষয় (লিগ্যাল ম্যাটার)- এর কনসালট্যান্ট হিসেবে কাজ করছেন।
উল্লেখযোগ্য অবদান :
মিসেস বিনানী একজন রেজিস্টার্ড ইন্সল্ভেন্সি প্রফেশনাল। দেশের মধ্যে তিনিই প্রথম পেশাদার দেউলিয়া হিসেবে কাজ করছেন। ‘ইনসল্ভেন্সি এন্ড ব্যাংকরাপ্টসি বোর্ড অফ ইন্ডিয়া’র তরফেও তাঁর নিবন্ধন রয়েছে। বেশ কিছু সম্মানীয় বোর্ডের স্বাধীন ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করেছেন মিসেস বিনানী। ‘ইনস্টিটিউট অফ ইনসল্ভেন্সি প্রফেশনাল’স-এর প্রমোটর ডিরেক্টর হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি।
২০১০-এ ‘ইনস্টিটিউট অফ কোম্পানি সেক্রেটারিস অফ ইন্ডিয়া’র পূর্ব ভারতের আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারপার্সন হিসেবে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। পূর্বাঞ্চলের ‘দ্য ইনস্টিটিউট অফ চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অফ ইন্ডিয়া’, ‘দ্য ইনস্টিটিউট অফ কস্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অফ ইন্ডিয়া’ এবং ‘দ্য ইনস্টিটিউট অফ কোম্পানি সেক্রেটারিস অফ ইন্ডিয়া’ এই তিনটি পেশাদার প্রতিষ্ঠানের একমাত্র মহিলা হিসেবে পদ অলংকৃত করেছেন মিসেস বিনানী।
২০২১ এ তিনি প্রথম ভারতীয় হিসেবে ‘আইডব্লিউআইআরসি’ পুরস্কার পান। ‘ইন্টারন্যাশনাল উওমেন্স ইনসল্ভেন্সি এন্ড রিস্ট্রাকচারিং কনফেডারেশন’ একটি এমন প্রতিষ্ঠান যারা ৪৯ দেশে নিজেদের বিস্তার ঘটিয়েছে। এই সংস্থায় প্রথম আন্তর্জাতিক স্তরে দেউলিয়া এবং পুনর্গঠন সম্পর্কিত মহিলাদের সমস্ত রকম সমস্যা নিয়ে কাজ করছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ করার জন্য এই সংস্থার মহিলা ও পুরুষ মিলিয়ে আন্তর্জাতিক স্তরে বর্তমান সদস্য সংখ্যা প্রায় ১৭০০।
আইন সংক্রান্ত বিষয়ে মিসেস বিনানী নিজেকে একেবারে আপডেট রাখেন। সাম্প্রতিকতম বদলের সঙ্গে সঙ্গে নিজেকে উন্নত রাখেন। তিনি দেশের সরকারকে কোনও মেশিনের ইঞ্জিনের সঙ্গে তুলনা করেন এবং সেই মেশিনের একটি অংশ হিসেবে নিজের কর্তব্য সম্পন্ন করতে চান। তিনি মনে করেন সরকারের কল্পনাকে জনসাধারণের জন্য বাস্তবায়িত করাই তাঁর কাজ। নিজের ইনসল্ভেন্সির জগতে তিনি যথেষ্ট কর্মক্ষম, এছাড়াও তিনি একজন দক্ষ লেখক, বক্তা এবং সুচিন্তিত নেতা।