অধিবেশন শেষের পর নয়াদিল্লিতে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদরা সাংবাদিক বৈঠক করে, মোদী–শাহকে তুলোধনা

নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: সংসদে বাদল অধিবেশনে গায়ের জোরে কোনও আলোচনা ছাড়াই একাধিক বিল পাশ করেছে সরকারপক্ষ। অধিবেশন চলাকালীন এই অভিযোগে বারবার সরব হয়েছেন বিরোধীরা। এবার অধিবেশন শেষের পর নয়াদিল্লিতে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদরা সাংবাদিক বৈঠক করে সরকারের মুণ্ডুপাত করলেন। ডেরেক ও’‌ব্রায়েন, সৌগত রায়, যশবন্ত সিনহা–সহ শীর্ষনেতারা পালটা সরকারের বিরুদ্ধেই ‘গুন্ডামি’ করার অভিযোগ তুললেন। রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক বলেন, ‘‌সংসদীয় কমিটিতে আলোচনা ছাড়া পর পর বিল পাশ করা হয়েছে। প্রতি ১০টি বিল পিছু ৪টি অর্ডিন্যান্স। কেন? এটা কি গুন্ডামি নয়? বলা হচ্ছে, বিরোধীরা গুন্ডাদের মতো আচরণ করছে। সরকার পক্ষই গুন্ডামি করেছে।’‌

    সম্প্রতি বিরোধীদের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে নির্ধারিত সময়ের আগে বাদল অধিবেশন মুলতুবি করে দেওয়া হয়েছে। লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা বিরোধীদের আচরণ গুন্ডামির সামিল এবং তাতে তিনি খুব পষ্ট পেয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন। রাজ্যসভার চেয়ারম্যান ভেঙ্কাইয়া নাইডু তো কেঁদেই ভাসালেন। বিরোধীরা সংসদের শুদ্ধতা নষ্ট করেছে। তাই তাঁর সারারাত ঘুম হয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি। অর্থাৎ বিরোধীদের একজোট হওয়ায় সরকার পিছু হটেছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।

    এবার তফসিলি জাতি–উপজাতি সংক্রান্ত বিল–সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিল পাশ হয়েছে সংসদের বাদল অধিবেশনে। আর সেটা কোনও আলোচনা ছাড়াই। তবে বাদল অধিবেশনে ঝড় তুলেছিল ফোনে আড়ি পাতা কাণ্ড বা ‘পেগাসাস’ ইস্যু। তৃণমূল কংগ্রেস–সহ সবকটি বিরোধী দলই এই বিষয় নিয়ে সরব হয়েছিল। কিন্তু গোটা অধিবেশনে কোনও আলোচনা হয়নি। ডেরেক–সৌগতদের অভিযোগ, এই নিয়ে আলোচনা ইচ্ছে করেই এড়িয়ে গিয়েছেন মোদী–শাহ। অথচ অধিবেশনের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজে আশ্বাস দিয়েছিলেন, ‘‌সরকার সব প্রশ্নের জবাব দিতে প্রস্তুত। সংসদ ভালভাবে চলতে দিন।’‌

    নয়াদিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করে প্রধানমন্ত্রী–স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে মোট ৭টি প্রশ্ন তুলে ধরেন তৃণমূল কংগ্রেসের সংসদীয় দল। গত তিন বছরে মোদী–শাহ কেন কোনও প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন না? লোকসভায় আলোচনা ছাড়াই বিল পাশ করানো হচ্ছে কেন? এই সাতটি প্রশ্নের পাশাপাশি ডেরেক ও’‌ব্রায়েন, সৌগত রায়রা জানান, মনমোহন সিংয়ের সময়ে তিনি সংসদে বিরোধীদের প্রশ্নের জবাব দিতেন। কিন্তু মোদী সরকার তা করে না।