|
---|
বাবলু হাসান লস্কর :দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘি থানার অন্তর্গত রায়দিঘি কোম্পানির ঠেক বাসস্ট্যান্ডে সন্নিকটে অল বেঙ্গল ডিস্ট্রিক্ট ইমাম এ্যাসোসিয়েশন এন্ড চ্যারিটেবল ট্রাস্ট অফিসে সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এই সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আব্দুল হাকিম মোল্লা( ইমাম দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার সাধারণ সম্পাদক ), মাওলানা আবু সুফিয়ান( অল বাংলা ডিস্ট্রিক্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি) সহ অন্যান্য ইমাম সাহেবগণ। অল বাংলা ডিস্ট্রিক্ট ইমাম অ্যাসোসিয়েশন অ্যান্ড চ্যারিটেবল ট্রাস্ট একটি গণতান্ত্রিক ও রাজনৈতিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। যারা প্রতিনিয়ত সারা রাজ্যে ইমাম মুয়াজ্জিনদের সুবিধা ও অসুবিধে সমাজ গঠনে তাদের দায়িত্ব পালন। বাল্যবিবাহ রুবেলা টিকাকরণ সহ একাধিক সামাজিক কার্যকলাপ সহ ওয়াকফ সম্পত্তি পুনরুদ্ধার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে চলেছেন। কিন্তু গত ৫ ডিসেম্বর সোমবার ওয়াকফ বোর্ডে একটি অশান্তির বাতাবরণ তৈরি করে উদ্দেশ্য প্রনদিত ওয়াকাফ্ বোর্ডের অফিসার মাননীয় সিইও ইমাম ,ওলামা এবং মুসলিম সমাজকে তিনি কটাক্ষ করেছেন তাই ওয়াকফ বোর্ডের বর্তমান এক্সিকিউটিভ অফিসার সিও তিনি একজন অযোগ্য অফিসার। যেটা তার ব্যবহার ও কাজে ফুটে উঠেছে। যার ফলাফল সারা রাজ্যে ইমাম মোয়াজ্জিন দের সাথে দুর্ব্যবহার করে এবং সমস্ত কাজ ইচ্ছাকৃতভাবে বিলম্ব করে। এবং তার চিন্তাভাবনা তিনি বলেন ওয়াকাপ বোর্ডে এত টুপি দাড়িওয়ালার ভিড় হবে কেন তিনি আরো বলেন টুপি দাড়ি নিয়ে এখানে এত ঘনঘন কি দরকার এই কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার জন্য সমস্ত ইমাম সাহেবরা উত্তেজিত হয়ে পড়েন সেখানে তিনি আরো মন্তব্য করেন আপনাদের নামে এফ আই আর করে আপনাদেরকে জেলে পাঠাবো এই কথার পরিপ্রেক্ষিতে সমস্ত ইমামরা গর্জে ওঠেন এবং ধিক্কার জানান মাননীয় আব্দুল হাকিম সাহেব আরো বলেন সিওর কথা অনুযায়ী যদি কোন ইমামের নামে কেস হয় কিম্বা কোন ইমামকে গ্রেফতার করা হয় তাহলে আমরা মনে করিয়ে দিচ্ছি এই অশান্তির দায় আপনার উপরেই থাকবে ।ইসলামবিরোধী মন্তব্য ইমাম বিরোধী মন্তব্য আলেম তথা সুন্নত বিরোধী প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর আদর্শ নিয়ে কুরুচিকর ও কটুক্তি এটা সারা পশ্চিমবাংলা তথা সারা ভারতবর্ষের কোন ধর্মপ্রাণ মুসলমান তথা আলেম-ওলামা এটা মেনে নেবেন না তাই আমরা ধিক্কার জানাচ্ছি এইসিওকে অবিলম্বে গ্রেফতার করা হোক ও তার অপসারণের দাবি জানাচ্ছি এবং আমাদের আরো কিছু দাবি অকাব্বরের কাছে সেই গুলি হল…
১. ইমাম বিরোধী অযোগ্য এক্সিকিউটিভ অফিসার কে অবিলম্বে ওয়াকফ বোর্ড থেকে অপসারণ করতে হবে।
২, ইমাম ভাতা বৃদ্ধি করতে হবে ওয়াকফ বোর্ড থেকে রেজুলেশন করে মুখ্যমন্ত্রীকে দিতে হবে।
৩. হয়রানি মুখে ইমাম মুজাহিদের কাজ পূর্বের ন্যায় কোনরকম বিলম্ব ছাড়াই ওয়াকফ বোর্ড থেকে করতে হবে।
৪. ভুয়ো ভাতা রুখতে লাইভ সার্টিফিকেট ও অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম থেকে প্রধান কাউন্সিলরদের সই বাতিল বহাল রাখতে হবে।
৫. ওয়াকফ বোর্ড প্রদত্ত মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের স্কলারশিপ বহাল রাখতে হবে হয়।
৬. মুখ্যমন্ত্রী কাছে ভাতা বৃদ্ধির আবেদন করতে হবে।
এতগুলি দাবি নিয়ে আজ সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।