শিলিগুড়িতে বাংলা পক্ষর সাংবাদিক সম্মেলন এবং ভেনাস মোড়ে সভা

নতুন গতি নিউজ ডেস্ক : বাংলা পক্ষ বাংলার প্রতিটা জেলার উন্নয়ন চায়। যাতে বাংলার প্রতিটা ছেলেমেয়ে বাংলাতেই কাজ পায়, সে জন্য সমস্ত বেসরকারি চাকরি, ঠিকা কাজ, টেন্ডারে ভূমিপুত্র সংরক্ষণের দাবিতে বাংলা ব্যাপী লড়াই করছে। বাংলা পক্ষ চায়-

    ১. প্রতিটা রাজ্য সরকারি চাকরির পরীক্ষা কেন্দ্র প্রতিটা জেলা সদরে থাকতে হবে। দূরের জেলা থেকে কাউকে কলকাতা যেতে না হয়।
    ২. বিহার, ইউপি বাংলার থেকে কম ট্যাক্স দিলেও বিহারে দুটো, ইউপিতে ৩ টা AIIMS আছে। কিন্তু বাংলায় একটা কেন? রায়গঞ্জ বা জলপাইগুড়িতে দ্বিতীয় AIIMS চায় বাংলা পক্ষ। এ ব্যাপারে বিজেপি সাংসদরা চুপ কেন?
    ৩. তিস্তার জল বাংলাদেশকে দিয়ে বাংলার উপরের দিকে ৮ টা জেলাকে শ্মশান বানানো যাবে না। তিস্তা জলবন্টন চুক্তির বিরুদ্ধে লড়ছে বাংলা পক্ষ।
    ৪. NJP কে কেন্দ্র করে লোকাল ট্রেন নেটওয়ার্ক চালুর দাবিতে বাংলা পক্ষ লড়াই করছে৷ ইতিমধ্যে ডেপুটেশন দেওয়া হয়েছে।
    ৫. শিলিগুড়িতে ভূমিপুত্রদের কাজ ও চাকরি দিতে হবে। বিহার-ইউপি থেকে লোক আমদানি করা যাবে না। ইতিমধ্যেই রেলে ডেপুটেশন দেওয়া হয়েছে।
    ৬. কলকাতা থেকে জলপাইগুড়ি, বালুরঘাট ও কোচবিহার আরও তিনটি নতুন ট্রেনের দাবিতে আন্দোলন করছে বাংলা পক্ষ।
    ৭. দিল্লির দ্বারা বাংলায় হিন্দি চাপিয়ে দেওয়া যাবে না।
    ৮. শিলিগুড়ি মোড় কে চক করা হয়েছে, চক গুলিকে আবার মোড় করতে হবে।
    ৯. চিলা রায় ও ঠাকুর পঞ্চানন বর্মার জন্মদিনে বাংলা জুড়ে সরকারি ছুটি দিতে হবে।

    কিন্তু বাংলা পক্ষ উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গে বিশ্বাস করে না। বিজেপি যে বাংলা ভাগের ষড়যন্ত্র করছে, তার তীব্র বিরোধিতা করে বাংলা পক্ষ। ইতিমধ্যে ১৯ শে জুন কলকাতায় এবং ৩ রা জুলাই শিলিগুড়িতে বাংলা ভাগের বিরুদ্ধে মহামিছিল করেছে বাংলা পক্ষ। বাংলার প্রতিটা জেলায় লড়াই চলছে। বাংলা পক্ষ চায় প্রতিটা ভূমিপুত্রর মধ্যে সৌভাতৃত্ব বজায় থাকুক। আমরা চাকরি ও কাজ এবং ব্যবসা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে আনন্দে একসাথে থাকতে চাই আমরা। সকলের মধ্যে থাকুক আশা, বিশ্বাস ও ভালোবাসা। এই বাংলাকে আমরা সকলে মিলে আরও উন্নত ও সুন্দর করে তুলতে চাই।

    এই সকল দাবি তুলে ধরে এবং বাংলা ভাগের চক্রান্তের প্রতিবাদে ভেনাস মোড়ে পথসভা করল বাংলা পক্ষ। বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক গর্গ চট্টোপাধ্যায়, সাংগঠনিক সম্পাদক কৌশিক মাইতি, শিলিগুড়ির জেলা সম্পাদক গিরিধারী রায়, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার জেলা সম্পাদক প্রবাল চক্রবর্তী, শিলিগুড়ির দপ্তর সম্পাদক রজত ভট্টাচার্য, আপ্পা দাস, রাজীব গোলদার প্রমুখ।