উৎসবের মরসুমেও বেলাগাম আলু পেঁয়াজ তেলের দাম মধ্যবিত্তের কপালে ভাঁজ

নতুনগতি নিউজ ডেস্ক: হু হু করে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। বাজারে গেলেই ছ্যাঁকা লাগছে মধ্যবিত্তের। শুরু হয়ে গেছে উৎসবের মরসুম। দুর্গাপুজোর সঙ্গে পেটপুজোর যোগ চিরকালীন। বিশেষত বাঙালি পরিবারে পুজো মানেই জমিয়া খাওয়া-দাওয়া। করোনা পরিস্থিতিতে যাঁরা বাড়িতেই ভাল-মন্দ খাওয়ার কথা ভাবছিলেন, তাঁদের আশাও বিশ-বাঁও জলে। পেঁয়াজ-ডিম তো বটেই, চড়ছে ভোজ্য তেল, ডালের দামও।

    সপ্তাহখানেক আগে কেজি প্রতি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছিল ৪০ টাকায়। এখন সেই পেঁয়াজ ৭০ টাকা কিলো দরে বিকোচ্ছে। মানিকতলা বাজারে নিম্নমানের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৬৫ টাকায়। মূলতঃ মহারাষ্ট্রের নাসিক থেকে পেঁয়াজ আসে। ব্যবসায়ী সমিতি ও টাস্ক ফোর্সের দাবি, এবার অতি বৃষ্টির কারণে নষ্ট হয়েছে পেঁয়াজ। ফলে জোগান কমায়, কমেছে আমদানি। সেই জন্যই দাম বাড়ছে পেঁয়াজের। পুজোর মুখে পেঁয়াজের দাম বাড়ায় চিন্তার ভাঁজ মধ্যবিত্তের কপালে। তাই কেনার পরিমাণ কমিয়ে পকেটের চাপ সামলাতে চাইছেন ক্রেতারা।

    আলু থেকে ডিম, গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই পাইকারি বাজারে দাম বাড়ছিল। এবার তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়তে শুরু করল বিভিন্ন ডাল, তেলের দামও! যেমন কলকাতার লেক মার্কেট। এখানে অড়হর ডালের দাম ১২০ টাকা কেজি। গত সপ্তাহের থেকে কেজিতে দাম বেড়েছে ২০ টাকা। মুসুরির ডাল বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে। গত সপ্তাহের থেকে দাম বেড়েছে কেজিতে ১০ টাকা। লেক মার্কেটে এক কেজি বিউলির ডালের দাম ১৩০ টাকা। ২০ টাকা দাম বেড়েছে। ডালের পাশাপাশি সরষের তেলের দামও প্রতি লিটারে বেড়ে গিয়েছে ১৫ টাকা। সূর্যমুখী তেলের দাম বেড়েছে লিটারে ২০ থেকে ২৫ টাকা।  একই অবস্থা ভবানীপুরের যদুবাবুর বাজারে। সেখানে এক কেজি অড়হর ডালের দাম ১৩৫ টাকা। গত সপ্তাহের থেকে এক লাফে ২০ টাকা দাম বেড়ে গিয়েছে। মুসুরির ডালের দাম ৯০ টাকা কেজি। ১০ টাকা দাম বেড়েছে। সরষের তেল ও সূর্যমুখী তেলের দামও লিটারে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়ে গিয়েছে।

    কিন্তু হঠাত্‍ করে কেন বাড়ল দাম? অন্ধকারে ক্রেতারাই!