|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা : নিম্ন উৎপাদনের জেরে চার মাসে প্রায় ৮০ শতাংশ দাম বেড়ে রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে শুকনোলঙ্কা। শুধু তাই নয়, এর দাম সারা বছর ধরেই বেশি থাকার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। বিশ্ব বাজারে জ্বালানি এবং অন্যান্য খাদ্য উপাদানের দামও ঊর্ধ্বমুখী। ফলে বিদেশী ক্রেতাদের আরও বেশি খরচ করে কিনতে হবে শুকনোলঙ্কা গুঁড়ো।
একটি খাদ্যশস্য ধ্বংসকারী কীট-পতঙ্গের আক্রমণ এবং প্রধান উৎপাদনকারী দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে অকাল বৃষ্টির কারণে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে শুকনোলঙ্কার উৎপাদন। এই কারণে শীর্ষ রপ্তানিকারক ভারতে ফলন এক বছর আগের তুলনায় এক পঞ্চমাংশ কমে গিয়েছে। ফলে শুকনোলঙ্কার দাম হু হু করে বাড়ছে৷
ভারত, বিশ্বের বৃহত্তম শুকনোলঙ্কার রপ্তানিকারক দেশ। ২০২১ সালে ৫,৭৮,৮০০ টন শুকনোলঙ্কা রপ্তানি করেছে ভারত, যা এক বছরে তার আগের বছরের তুলনায় প্রায় ৮ শতাংশ বেশি। কিন্তু অকাল বৃষ্টি আর তার জেরেই কীট-পতঙ্গের বাড়ন্ত আক্রমণে এক ধাক্কায় ২০ শতাংশ কমে গিয়েছে দেশের শুকনোলঙ্কার উৎপাদন।
বাংলাদেশ, চিন, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ২০২১ সালে ১.৩ বিলিয়ন ডলারের শুকনোলঙ্কা রপ্তানি করেছে ভারত। লঙ্কার গাছগুলি কীট-পতঙ্গের আক্রমণে খারাপ ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং কীটনাশকের ব্যাপক ব্যবহার সত্ত্বেও অনেক ফসল নষ্ট হয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন অন্ধ্র প্রদেশের গুন্টুরে ৪৬ বছর বয়সী একজন কৃষক।
ভারতের শুকনোলঙ্কার বৃহত্তম স্পট মার্কেট গুন্টুরে পাইকারি দাম নভেম্বর মাসে প্রায় ১০,০০০ টাকা থেকে বেড়ে ১৮,০০০ টাকা (২৩৪ ডলার) প্রতি ১০০ কেজি হয়ে গিয়েছিল৷ শুকনোলঙ্কার উৎপাদন মূল্য বাড়লেও ভারত থেকে আমদানিকারক দেশগুলি এখনও এ দেশের উৎকৃষ্ট মানের মশলার উপরই এখনও নির্ভরশীল। তবে দাম নাগাড়ে বাড়তে থাকলে বাজার হারানোর (আংশিক) আশঙ্কাও বাড়বে। শুকনোলঙ্কার আর এক রপ্তানিকারক দেশ পাকিস্তানেও এর উৎপাদন অনিয়মিত আবহাওয়ার কারণে অনেকটাই কমে গেছে। তাই ভারতের শুকনোলঙ্কার চাহিদার বাজারে এখনও তেমন প্রভাব পড়েনি।