নির্ভয়া কাণ্ডের পুনরাবৃত্তি, এক মহিলাকে গণধর্ষণের পর যৌনাঙ্গে রড ঢুকিয়ে পাঁজর ভেঙে খুন উত্তরপ্রদেশে,অভিযুক্ত পুরোহিত

নতুন গতি ওয়েব ডেস্ক: নির্ভয়া কাণ্ডের পুনরাবৃত্তি হাথরাসের গণধর্ষণের ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে নতুন বছরের শুরুতে ফের নৃশংসতার নজির গড়ল উত্তরপ্রদেশ। এবার চলন্ত গাড়িতে মধ্যবয়সি এক মহিলাকে গণধর্ষণের পর তাঁর যৌনাঙ্গে রড ঢুকিয়ে দিল ধর্ষকরা। গত রবিবার সন্ধ্যায় উত্তরপ্রদেশের বদায়ুঁ জেলার উঘৈতি থানা এলাকায় এই পৈশাচিক অত্যাচারের শিকার হন ওই মহিলা। এত বড় ঘটনার পরও পুলিশ অভিযোগ নিতে গড়মসি করে বলে অভিযোগ। শেষ পর্যন্ত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও খুনের মামলা দায়ের করা হয়। তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। ঘটনার নৃশংসতা দিল্লির নির্ভয়ার স্মৃতি উস্কে দিয়েছে।

    গোটা ঘটনায় পুলিশি নিস্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছে নির্যাতিতার পরিবার। তাদের দাবি, অভিযোগ দায়ের করা সত্ত্বেও উঘৈতি থানার স্টেশন অফিসার (এসও) রবেন্দ্রপ্রতাপ সিংহ ঘটনাস্থলে যাওয়ার তাগিদ পর্যন্ত দেখাননি। বরং যেখান থেকে ওই মহিলাকে উদ্ধার করা হয়, সোমবার দুপুরে কেবলমাত্র একবার সেখানে ঢুঁ মেরে আসে পুলিশ। এমনকি মৃতার ময়নাতদন্ত নিয়েও গড়িমসির অভিযোগ উঠেছে। রবিবার গভীর রাতে মৃত্যু হলেও, সোমবার বিকেলে দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় বলে দাবি করেছেন নির্যাতিতার পরিবার। একজন মহিলা-সহ ৩ চিকিৎসকের দল ময়নাতদন্তের দায়িত্বে ছিলেন।

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ওইদিন স্থানীয় মন্দিরে পুজো দিতে গিয়েছিলেন নির্যাতিতা। কিন্তু তারপর দীর্ঘক্ষণ পরও বাড়ি ফেরেননি তিনি। এরপর পরিবারের লোকজন তাঁর খোঁজ খবর শুরু করলে মধ্যরাতে রাস্তার পাশ থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করা হয়। ওই মহিলার পাঁজর ও পায়ের হাড় ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। ধর্ষণের পর দুষ্কৃতীরা তাঁকে গাড়ি থেকে ফেলে দেয়। চিকিৎসকরা তাঁকে বাঁচানোর চেষ্টা করলেও রক্তপাত বন্ধ না হওয়ায় শেষরক্ষা হয়নি।

    আবারো এই ঘটনা মনে করিয়ে দিচ্ছে দিল্লির নির্ভায়া কান্ডের কথা, এর আগে চলন্ত বাসের মধ্যে নির্ভায়ার ওপর অত্যাচার চালানো হয়েছিল, ঠিক তেমনই পরিস্থিতির মুখোমুখি হলেন উত্তর প্রদেশের এক মধ্যবয়স্ক মহিলা গণধর্ষণ করার পর চালানো হল তার ওপর অমানবিক অত্যাচার। ধর্ষণের পর নির্যাতিতার যৌনাঙ্গের ঢুকিয়ে দেওয়া হয় রড, ভেঙ্গে দেওয়া হয় পায়ের হাড় ও পাঁজর। দীর্ঘক্ষণ ধরে রক্তপাত বন্ধ না হওয়ার ফলে মৃত্যু হয় সেই মহিলার।

    তবে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, মহিলার অবস্থা দেখে প্রথমে চন্দৌসি এলাকায় তাঁকে চিকিৎসা করাতে নিয়ে যায় অভিযুক্তরা। তারপর ওই এলাকায় নির্যাতিতাকে গাড়ি থেকে ফেলে দিয়ে যায়। এই ঘটনায় এলাকায় পুরোহিত হিসেবে পরিচিত মহন্ত বাবা সত্যনারায়ণ, তাঁর সহযোগী বেদরাম এবং গাড়ির চালক জসপালের নাম সামনে এসেছে। তবে ওই মহিলা যে মন্দিরে পুজো দিতে গিয়েছিলেন, অভিযুক্ত সেখানকার পুরোহিত কিনা তা জানা যায়নি।