|
---|
মুহাম্মদ রাইহানুল হক, নতুন গতি:
২০১০ সালের এন সি টি ই -র নির্দেশিকা অনুযায়ী শিক্ষকতার যোগ্যতা মাধ্যমিক থেকে ন্যূনতম ৫০ শতাংশ সহ উচ্চমাধ্যমিকে বাড়িয়েছেন। সঙ্গে দুবছরের ডি এল এড কোর্সও সম্পূর্ণ করেছেন রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষকরা। কিন্তু পেশাগত যোগ্যতা বাড়ালেও বাড়ানো হয়নি বেতন। অর্থাৎ নিজেদের প্রাথমিকে শিক্ষকতার পেশাগত মান সর্বভারতীয় যোগ্যতায় উন্নীত করেও কিংবা নতুন ২০১৪ ও ২০১৭ তে নিযুক্ত শিক্ষকদের সর্বভারতীয় যোগ্যতায় নিযুক্ত করা হলেও বেতন পাচ্ছেন মাধ্যমিক যোগ্যতায় বলে অভিযোগ প্রাথমিক শিক্ষকদের।
গত জুনের করুনাময়ীতে জমায়েত বা আগস্টের কোলকাতা রাজপথে বিক্ষোভের পর আরো ব্যাপকতর আন্দোলনের অঙ্গ হিসাবে শহিদ মিনারে আগামী ২৯ ও ৩০ তারিখে ধর্না অবস্থানের ডাক দিয়েছে ‘উস্থি ইউনাইটেড প্রাইমারি টিচার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন (UUPTWA)’ নামে একটি অরাজনৈতিক শিক্ষক সংগঠন।
উল্লেখ্য, রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষকরা বর্তমানে ৫৪০০ থেকে ২৫২০০ স্কেল এবং ২৬০০ গ্রেড পে অনুযায়ী বেতন পাচ্ছেন। কিন্তু সর্বভারতীয় স্কেল অনুযায়ী বেতন হওয়ার কথা ৯৩০০ থেকে ৩৪৮০০ এবং ৪২০০ গ্রেড পে ( পি আর টি স্কেল) । শিক্ষকদের দাবি, এই বেতন বৈষম্যের জন্য প্রতিমাসে শিক্ষকরা প্রায় ১০ হাজার বা ততোধিক টাকা করে বেতন কম পাচ্ছেন। রাজ্যের হাজার হাজার শিক্ষকরা ঐ দুদিনের কর্মসূচীতে যোগদান করবেন বলে মনে করা হচ্ছে।