প্রকাশ্যে কচ্ছপ কেটে এখনো বিক্রি চলছে, লুপ্তপ্রায় হচ্ছে কচ্ছপ

দক্ষিন দিনাজপুরঃ বেশ কয়েক বছর ধরে গঙ্গারামপুরে প্রশাসনের নাকের ডগায় বুড়ো আঙুল দেখিয়ে অবৈধভাবে কচ্ছপের মাংস বিক্রি করা হচ্ছে বারবার বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হওয়া সত্ত্বেও কোনো ফল হয়নি তবে কিছু সংখ্যক অসাধু কচ্ছপ ব্যবসায়ী ধরা পড়লেও কিছু অজানা কারনে আবার ছাড়াও পেয়ে গেছে। গঙ্গারামপুরের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কিছু স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ প্রশাসনের নাকের ডগায় প্রকাশ্য দিবালোকে এই অসাধু ব্যবসায়ীরা কচ্ছপ কেটে বিক্রি করছেন কি করে তারা দিনের আলোয় এই কাজগুলো করতে সাহস পায়? নাকি প্রশাসন সব জেনেও চুপ করে আছে, স্থানীয় বাসিন্দারা আরও অভিযোগ করে বলেন রবিবার গঙ্গারামপুর শহরের শিববাড়ি হাট সবচেয়ে বড়ো হাট সেখানে প্রকাশ্যে নৃশংস ভাবে কচ্ছপ গুলোকে হত্যা করে শুধু মাত্র বেশি টাকার লোভে বিক্রি করে চলেছে ,প্রশাসন কেন কিছু বলেনা জানিনা আমাদের মনে হয় পুলিশের সাথে এইসব অসাধু ব্যবসায়ীদের গোপন আঁতাত রয়েছে । অন্যদিকে এই বিলুপ্ত প্রায় প্রানীটি ধীরে ধীরে লুপ্ত হয়ে পড়ছে আইনত কচ্ছপ ধরা বা মারা দন্ডনীয় অপরাধ শুধুমাত্র প্রশাসনিক উদাসিনতার কারনে প্রানীটি অঘোরে মারা পড়ছে স্থানীয়দের দাবী অতিসত্ত্বর এইসব অসাধু ব্যবসায়ীদের ধরে কঠোর শাস্তি দেওয়ার পাশাপাশি অবিলম্বে কচ্ছপের মাংস বিক্রি বন্ধ করা দরকার নাহলে এই নিরীহ প্রানীটি এই পৃথিবীর বুক থেকে চিরতরে হারিয়ে যাবে।বিলুপ্ত প্রায় প্রাণী হিসেবে বর্তমানে কচ্ছপের মাংস বিক্রি আইনত অপরাধ। কিন্তু তারপরেও প্রশাসনকে লুকিয়ে চলছে কচ্ছপের পাচার আর সেই কচ্ছপ কেটে দেদার মাংস বিক্রি। দক্ষিণ দিনাজপুরের বড় বড় হাটগুলি চোরাকারবারীদের মূল লক্ষ্য। বিহার থেকে বাংলাদেশে কচ্ছপ পাচার করার পথে পড়ছে দঃ দিনাজপুরের বালুরঘাট, কামারপাড়া, কুমারগঞ্জ, গঙ্গারামপুরের শিববাড়ি হাট ও সরাইহাট। আর সেখানেই প্রশাসনের নাকের ডগায় কিছু অসাধু ব্যবসায়ী কচ্ছপ হত্যা করে মাংস বিক্রি করছে মোটা টাকা আয়ের লোভে। বনদপ্তর থেকে মাঝে মাঝে হানা দিলেও মূল কারবারীরা সেভাবে ধরা পড়ছে না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বন দপ্তরের এক কর্মী জানান যে, প্রায় সময় বিভিন্ন হাটে হানা দিয়ে অবৈধ কচ্ছপ বিক্রির বিরুদ্ধে অভিযান চালালেও তা যে যথেষ্ট নয় তা কচ্ছপের মাংস বিক্রির রমরমা কারবার দেখলেই বোঝা যাচ্ছে।এদিকে যত দিন যাচ্ছে দঃ দিনাজপুরে কচ্ছপের মাংসের চাহিদা বেড়ে যাচ্ছে। এক কেজি কচ্ছপ বিক্রি হচ্ছে এক হাজার টাকায়, ফলে বেশি টাকা লাভের লোভে জেলায় বেশ বড় কারবার গড়ে উঠছে। বিহারের পূর্ণিয়া হয়ে ডালখোলা হিয়ে রায়গঞ্জ হয়ে প্রতি সপ্তাহে দক্ষিণ দিনাজপুরের বুনিয়াদপুরের সরাইহাট ও গঙ্গারামপুরের শিববাড়ি হাটে বস্তাবন্দী করে কচ্ছপ আনা হয়। ফলে বস্তাবন্দী অবস্থাতেই মারা যাচ্ছে ছোট বড় বহু কচ্ছপ। শুধু মাংশ নয়, জেলা জুড়ে হাটগুলিতে গোপনে কচ্ছপের মাংস বিক্রির পাশাপাশি কচ্ছপের চর্বিও বাংলাদেশে পাচার হয়। ওষুধ তৈরির জন্য বাংলাদেশ হয়ে ওই চর্বি আবার বিদেশে যায় বলে গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে। গত বছর হিলি এলাকা থেকে বিএসএফ কয়েক বস্তা ভর্তি কচ্ছপের চর্বি উদ্ধার করেছিল। যার প্রতি কেজির দাম ছিল ৩ হাজার টাকা। এই জেলার গঙ্গারামপুর লাগোয়া কুমারগঞ্জ এবং বুনিয়াদপুরের সরাইহাট এলাকায় গোপন ডেরায় চৌবাচ্চা তৈরি করে কচ্ছপগুলিকে রাখা হয়। সেখান থেকে বিভিন্ন বাস পাল্টে বস্তাবন্দি করে কচ্ছপ বিভিন্ন প্রান্তে কারবারিদের হাতে পৌঁছে যায় বলে জানা গিয়েছে। প্রশাসনের তরফ থেকে জানা গেছে, যা তথ্