|
---|
নিজস্ব প্রতিনিধি : আজিজুর রহমান, গলসি : ভুমি ও ভুমি সংস্কার দপ্তর মানেই নিত্য হয়রানির অভিযোগ তুলেন সাধারণ মানুষ। কখন এই কাগজ নেই তো কখন ওই কাগজ নেই বলে ঘোরানোর অভিযোগ তো নিত্যদিন শোনা যায়। তবে বর্তমানে গলসি ১ নং ব্লকের ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের চিত্র একদম আলাদা। এই দপ্তরে প্রণব কুমার কর্মকার বিএলএন্ডএলআরও হয়ে থেকে যোগ দেবার পরই
অফিসের কাজের গতি বেড়েছে বলে দাবী করছেন অনেকেই। তার ব্যবহার সন্তুষ্টও হচ্ছেন অসংখ্য চাষী থেকে সাধারণ মানুষ। যার ফলে পাল্টেছে গলসি ১ নং ব্লকের ভুমি ও ভুমি সংস্কার দপ্তের বর্তমান চিত্র। বন্ধ হয়েছে এলাকার মানুষের হয়রানি।
পারাজ গ্রামের বাসিন্দা সেখ আমিনুল ইসলাম জানান, যে কোন কাজ নিয়ে প্রণব বাবুর কাছে গেলে তিনি গুরুত্ব দিয়ে দেখেন। সব কাজ মানুষকে বুঝিয়ে দেন। তিনি শ্রেণী পরিবর্তনে একটি আবেদন করে তার এই অভিজ্ঞতা হয়েছে। প্রণব বাবুর ব্যবহার ও কাজে খুব খুশি হন আমিনুল সহ অনেকেই।
মানকরের বাসিন্দা ৮০ বছরের বৃদ্ধ তপন বিশ্বাস জানান, রাইপুর মৌজায় তার ১৪ শতক জমি ছিল। যেটির ৩ শতক ভুল করে অন্য জনের খতিয়ানে উঠে ছিল। সেই জমির উপর দিয়ে গেইল ইন্ডিয়ার পাইপ লাইন গেছে। হেয়ারিং এর পর তিনি তার শেয়ার ও জমির পরিমাণ মিলিয়ে দেখাতে পারছিলেন না। ওই বৃদ্ধ বয়সে তিন বছর ধরে তিনি বর্ধমান ও বুদবুদ ছুটে বেড়িয়েছেন। অবশেষে প্রণব বাবু কাছে গিয়ে তিনি স্বস্তি পান। এখন সব কাজ হয়ে গেছে। তিনি বলেন, প্রণব বাবু মানুষটা খুব ভালো। উনি আমার যা উপকার করছেন সেটা কখনও ভুলতে পারবো না। উনার মতো মানুষ আসায় আমাদের বহু কাজ সহজ হয়ে গেছে।
মথুরাপুরের বাসিন্দা, রামকৃষ্ণ সরকার বলেন, তিনি তার স্ত্রীর নামে থাকা একটি সম্পত্তি শ্রেণী পরিবর্তনের আবেদন করেছিলেন ছয় মাস আগে। সম্পত্তিটি সারেজমিনে তদন্ত হবার পরও পরে ছিল। বার বার গিয়েও কোন কারন জানতে পারছিলেন না। তবে ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক প্রণব কুমার কর্মকার যোগ দেবার পর তিনি তার কাছে পৌছান। এরপরই প্রণব বাবু তাদের সমস্যাটি বুঝিয়ে দেন। এতে সরকারী কি নিয়ম আছে তাও তিনি জানান। তখনই রামকৃষ্ণ বাবু জানতে পারেন তার সম্পত্তিটিতে ষোলে আনার মিল নেই। বিক্রি হওয়ার পরও কারও কারও নামে রেকর্ড থেকে গেছে। এরপরই তিনি ওই সম্পত্তির সকল ওয়ারিশন ও দলিল পরচা নিয়ে যান। তারপরই শেয়ার ও ষোলো আনায় মিল করে রামকৃষ্ণ বাবুর কাজের নিস্পত্তি হয়। প্রণববাবুর কাজের প্রসংশা করে তিনি বলেন, এই স্যারের জন্য সব কাজই খুব দ্রুত হচ্ছে। এমন অফিসার থাকলে বহু সাধারণ মানুষ উপকৃত হবেন।
বিএলএন্ডএলআরও প্রণব কুমার কর্মকার জানিয়েছেন, মানুষের কাজ করার জন্যই এখানে এসেছি। যত বেশি পারছি মানুষকে পরিসেবা দেবার চেষ্টা করছি। সাধারণ মানুষের জন্য এই অফিস। যতক্ষন আমি আছি কেউ এখান থেকে ঘুরবেন না। সরকারী সঠিক নিয়ম মেনে কাজ করাতে আসলে সেই কাজ ফেলে রাখবো না।