|
---|
আর এ মন্ডল : সম্প্রতি “ঈদুল আযহা” বিষয়ে পুলিশ প্রশাসনের উদ্যোগে রাজ্যের বিভিন্ন থানায় ইমাম ও ধর্ম গুরু এবং রাজনৈতিক নেতৃত্বদের নিয়ে শান্তিপূর্ণ ভাবে ধর্ম ও উৎসব পালনের নিমিত্তে প্রশাসনিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়ে গেল। যা গুরুত্বপূর্ণ হলেও এই পর্যায়ে সরকার নির্দেশিত প্রশাসনের বৈঠকী আলোচনা তাৎপর্যপূর্ণ।
এই পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে মুসলিম ও হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্ম পালন এবং সংশ্লিষ্ট উৎসব প্রসঙ্গেই প্রশাসনিক বৈঠক। যদিও সকল সম্প্রদায়ের ধর্ম ও উৎসব এ তো শান্তিপূর্ণ ভাবে অন্য কোন রাজ্যে পালিত হয় বলে জানা নেই।
উল্লেখ্য যে,- অন্যান্য বহু ক্ষেত্রেই সমাজে অন্যায় অত্যাচার, অমানবিকতা, হিংস্রতা,অগ্নিসংযোগ এমনকি খুনোখুনি ইত্যাদি অসামাজিক কার্যকলাপও কিন্তু উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে-। এইসব ঘটনার প্রেক্ষাপট বিশ্লেষণ করলে প্রশাসনিক নিষ্ক্রিয়তা লক্ষ্য করা যায়। অনুরূপে সৌহার্দ্য, শান্তি, সম্প্রীতির লক্ষ্যে আন্তরিকতার সাথে সরকারের পক্ষ থেকে যদি প্রশাসনিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়, আশা করা যায় অবশ্যই অত্যন্ত ফলপ্রদ হবে। পুলিশ প্রশাসনকে সক্রিয় হওয়া, সরকারকেও মানবিক মূল্যবোধের উপর গুরুত্ব দেওয়া,- আর থাকতে হবে রাজনৈতিক সদিচ্ছা। সংবিধানের প্রতি সম্মান ও মর্যাদাকে অক্ষুন্ন রেখে দেশ ও জাতির কল্যাণে সত্য ও ন্যায়ের পথে এগিয়ে চলার শপথ গ্রহণ শুধুমাত্র ক্ষমতাসীন দলের জন্য নয়। সবার জন্যই আবশ্যিক।
ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন ও তৎসংশ্লিষ্ট উৎসব এর সময়েই প্রশাসন ও পুলিশের উদ্যোগে শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার্থে সৌহার্দ্যের বাতাবরণ তৈরির জন্য শান্তি বৈঠক কি সর্ব ক্ষেত্রেই সকলের জন্য কল্যাণকর হতে পারে? না বিশেষ বিশেষ সময়েও এই উদ্যোগী তৎপরতা আশু প্রয়োজন?
বর্তমানে আসন্ন ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রস্তুতি প্রক্রিয়ার কর্মকান্ড কিসের ইঙ্গিত বহন করে? বিশৃঙ্খলা,হাঙ্গামা, ভাঙচুর,অগ্নিসংযোগ,সন্ত্রাসী কারবার ও খুনোখুনির ঘটনা কি মনুষ্যত্বের অবমাননা নয়? বলাই বাহুল্য যে,- নির্বাচনের নির্দিষ্ট দিনক্ষণে ও তার পরবর্তী সময়ে অর্থাৎ ফলাফল এবং তারপরেও কি যে সাংঘাতিক সন্ত্রাসীদের জঙ্গিপনা বঙ্গবাসী দেখে চলেছে তা কি কোন স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের নিদর্শন হতে পারে? যার অশনি সংকেত বিদ্যমান।