|
---|
মহম্মদ নাজিম আক্তার, নতুন গতি, হরিশ্চন্দ্রপুর: বেসরকারি সংস্থার হাতে রেলের ১৫১টি ট্রেনকে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে পথে নামল তৃণমূল। মঙ্গলবার দুপুর বারোটা নাগাদ মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর ও ভালুকা রেলওয়ে স্টেশনে অবস্থান বিক্ষোভ দেখায় তাঁরা। হরিশ্চন্দ্রপুর তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে আয়োজিত এদিন এই অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন হরিশ্চন্দ্রপুর-১ ও ২ নং ব্লকের তৃনমূল কংগ্রেসের সভাপতি তজমুল হোসেন ও হজরত আলি এবং মালদা জেলা যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি বুলবুল খান মালদা জেলা পরিষদের শিশু ও নারী কল্যান দপ্তরের কর্মাধ্যক্ষ মার্জিনা খাতুন
সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা।
প্রসঙ্গত, বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া ১৫১টি ট্রেনের মধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের ১৫টি রুটের দূরপাল্লার ট্রেনও। গত ডিসেম্বর মাসেই এই ১৫১টি ট্রেনকে বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল নীতি আয়োগ। বেশ কিছু সংস্থা ইতিমধ্যেই ওই ট্রেন চালাতে আগ্রহী বলে জানিয়েছে।যার ফলস্বরূপ কয়েকদিনের মধ্যেই দরপত্র প্রক্রিয়া ডাকার কাজ শুরু হবে। এই বেসরকারিকরণের প্রতিবাদেই এদিন দুই রেলওয়ে স্টেশনের সামনে বিক্ষোভ হয় তৃণমূল কংগ্রেসের। প্রবল বৃষ্টির মধ্যেই কর্মসূচি চলে। এদিন অবস্থান বিক্ষোভের পাশাপাশি রেলওয়ে স্টেশন মাস্টারকে স্বারক লিপি প্রদান করেন।
বুলবুল খান বলেন, ‘‘নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গত ৬ জুলাই থেকে লাগাতার কর্মসূচি নিয়েছেন। সোমবার পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে আন্দোলন হয়েছে। এরপর আজকে আমরা মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর ও ভালুকা রেলওয়ে স্টেশনের সামনে রেলের বেসরকারিকরণের প্রতিবাদে কর্মসূচি নিয়েছি। রেল যাতে বেসরকারিকরণ না হয় কেন্দ্রীয় সরকারকে এই ভাবনা প্রত্যাহারের দাবি জানালাম।’’
তজমুল হোসেন বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকার রেলকে বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দিয়ে এভাবেই মানুষের অধিকার কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা চলছে। এতে রেলের ভাড়া বাড়বে। মাসিক খরচ বাড়বে। মানুষের অধিকার থাকবে না। রেলের কর্মচারীরাও এতে ভয়ঙ্কর বিপদের মুখে পড়বে। তাঁদের অধিকার লঙ্ঘিত হবে। মানুষ একে ক্ষমা করবে না। রেলের বেসরকারিকরণের বিরুদ্ধে আমাদের লাগাতার আন্দোলন চলবে।’’
অন্যদিকে মালদা জেলা পরিষদের শিশু ও নারী কল্যান দপ্তরের কর্মাধ্যক্ষ মার্জিনা খাতুন জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশে রাজ্যজুড়ে এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে ।
তিনি আরো জানান রেলকে বেসরকারিকরণ করা হলে লক্ষ লক্ষ রেলের কর্মচারীকে পদত্যাগ করতে হবে। রেলের হকার এবং রেলের ওপর নির্ভর করে যারা জীবিকা নির্বাহ করেন। তাঁরা আজ কর্মহীন হয়ে পড়বেন।