|
---|
রাইহানুল হক, মুর্শিদাবাদ
শুক্রবার, ৮ই ফেব্রুয়ারিঃ ‘জঙ্গিপুর রেলওয়ে প্যাসেঞ্জার্স কমিটি’ পরিদর্শনরত পূর্বরেলের জেনারেল ম্যানেজার হরিন্দ্র রাওয়ের নিকট ভোরবেলা কলকাতাগামী ট্রেনসহ ১১ দফা দাবি পেশ করলো। প্যাসেঞ্জার্স কমিটির পক্ষে ওয়াহিদুল শেখ, সৌমিক দাস, আইনজীবী মোজাম্মেল হক, হাসানুজ্জামান বাপ্পার নেতৃত্বে প্রায় শ’দুয়েক মানুষ আজ বিভিন্ন দাবিদাওয়া পেশ করেন। দাবী গুলির মধ্যে অন্যতম হলো, ভোরবেলা কলকাতাগামী এক্সপ্রেস ট্রেন চালাতে হবে। অবিলম্বে নশীপুর রেলব্রিজ চালু করতে হবে।
জঙ্গিপুর – আজিমগঞ্জ লাইনে চলা সমস্ত ট্রেনকে স্টপেজ দিতে হবে। জঙ্গিপুর থেকে বেঙ্গালুরু- চেন্নাই-মুম্বাই-কেরল-সুরাট -দিল্লীগামী প্রভৃতি রুটে ট্রেন চালাতে হবে। জঙ্গিপুর অথবা আজিমগঞ্জ থেকে সকালের দিকে শিলিগুড়ি যাবার ট্রেন চালু করতে হবে। জঙ্গিপুর – আজিমগঞ্জ – কাটোয়া লাইনে আরো ইলেট্রিক লোকাল ট্রেন চালাতে হবে। জঙ্গিপুর – মোরগ্রাম নতুন রেলপথ করতে হবে, যাতে করে সহজেই দুর্গাপুর আসানসোল যাওয়া যায়। নবদ্বীপধাম এক্সপ্রেসকে হাওড়া পর্যন্ত সম্প্রসারণ করতে হবে।
এছাড়া, জঙ্গিপুর রেলস্টেশনে রেলওয়ে এনকোয়ারি কাউন্টার, ৩ নং প্লাটফর্মের কাছে টিকিট কাউন্টার, স্লিপার ওয়েটিংরুম, ২নং প্লাটফর্ম শেড বাড়ানো, প্লাটফর্মে কোচ ইন্ডিকেটর লাগানো ইত্যাদিরও দাবি জানানো হয়।
পরে সাংবাদিক সম্মেলনে হাসানুজ্জামান বাপ্পা জানান, প্রায় দুহাজার সই সম্বলিত দাবিপত্র দিয়েছেন। জেনারেল ম্যানেজার তাঁদের দাবিদাওয়া মন দিয়ে শুনেছেন এবং দাবিপত্রটি রেলবোর্ডের কাছে পাঠিয়ে দেবেন।
প্যাসেঞ্জার্স কমিটির মতে, এলাকার সাধারণ মানুষকে দূরপাল্লার ট্রেন ধরতে হলে জঙ্গিপুরের ২০ কিমি পূর্বে লালগোলা অথবা ২০ কিমি পশ্চিমে মুরারই গিয়ে ট্রেন ধরতে হয়। বিশাল জনঘনত্বের জঙ্গিপুর মহকুমা স্বাধীনতার পর থেকেই বঞ্চিত হয়ে আছে। দূরপাল্লার বেশিরভাগ ট্রেন জঙ্গিপুরের ওপর দিয়ে গেলেও এখানে দাঁড়ায় না। মূলত সকালের ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস আর সন্ধ্যের কাটিহার এক্সপ্রেসের ওপর নির্ভর করে থাকতে হয়। কমিটি তাঁদের দাবিপূরণ না হলে বৃহত্তর আন্দোলনে যাবে বলেও ঘোষণা করে।
উল্লেখ্য, প্রায় একই দাবী নিয়ে ওয়েলফেয়ার পার্টি ও জঙ্গিপুর ব্যবসায়ী সমিতিও পৃথক পৃথক দাবিপত্র প্রদান করে।