৪ঠা থেকে ১০ই জুন সারা দেশব্যাপী প্রতিবাদ সপ্তাহে রামদেবের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ প্রদর্শন

নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: আজ মেডিক্যাল সার্ভিস সেন্টার পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির সম্পাদক ডাক্তার অংশুমান মিত্র এক বিবৃতিতে বলেন,

    “সম্প্রতি রামদেব যেভাবে মর্ডান মেডিসিন সম্বন্ধে কুৎসা প্রচার করছে , মর্ডান মেডিসিনের চিকিৎসকদের অবমাননা সূচক মন্তব্য এবং কোনও বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই তার কোম্পানি পতঞ্জলির করোণিল’কে করোনার ওষুধ বলে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে তার প্রতিবাদে আজ ৪ঠা জুন থেকে ১০ই জুন অব্দি সারা দেশজুড়ে প্রতিবাদ সপ্তাহ পালিত হচ্ছে।

    এই প্রতিবাদ সপ্তাহের প্রথম দিন অর্থাৎ আজ, ৪ঠা জুন পশ্চিমবঙ্গে কলকাতা মেডিকেল কলেজ এবং নর্থ বেঙ্গল মেডিকেল কলেজ – এই দুই স্থানে বিক্ষোভ প্রদর্শিত হয়। কলকাতা মেডিকেল কলেজে এই বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেন মেডিকেল সার্ভিস সেন্টার সেন্ট্রাল কমিটি সদস্য ডা: মৃদুল সরকার। বাবা রামদেবের কুশপুত্তলিকা তে অগ্নি সংযোগ করেন ডা: সরকার। নর্থ বেঙ্গল মেডিকেল কলেজের বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেন রাজ্য কমিটির সদস্য ডাঃ অপূর্ব মন্ডল।

    প্রসঙ্গত, রামদেব এবং তার কোম্পানি পতঞ্জলির বাড়বাড়ন্ত শুরু হয় ইউপিএ জমানায় এবং তা ফুলে ফেঁপে ওঠে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের জমানায়। করোনা অতিমারি পরিস্থিতিতে রামদেবের মর্ডান মেডিসিন এর বিরুদ্ধে কুৎসা প্রচার সমাজ মননে ডাক্তার নার্স স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রতি বিরূপ মনোভাব তৈরীর ক্ষেত্র তৈরি করে দিচ্ছে এবং কভিডের বিরুদ্ধে আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানকে হাতিয়ার করে এক মানুষের মত লড়াইয়ের ক্ষেত্রে বাধার সৃষ্টি করছে। কেন্দ্র সরকারের রামদেব বিষয়ে নিশ্চুপ থাকা সমস্যা বাড়াতে সাহায্য করছে। যার ফলশ্রুতিতে দেশের নানান প্রান্তে ডাক্তার নিগ্রহ বাড়বাড়ন্ত শুরু হয়েছে। রামদেবের সঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের ঘনিষ্ঠতা, সরকারের নীরবতা ইত্যাদির ফলে তার ঔদ্ধত্য ক্রমাগত বাড়ছে এবং সমাজমননে কুসংস্কারাচ্ছন্ন চিন্তার প্রভাব বাড়ছে।

    এমতাবস্থায় আমরা আগামী এক সপ্তাহ ব্যাপী সারা দেশজুড়ে প্রতিবাদ সপ্তাহ পালন করছি, দাবী করছি অবিলম্বে রামদেবকে গ্রেপ্তার করতে হবে এবং ফৌজদারি মামলা শুরু করতে হবে। তার সাথে সাথে কেন্দ্র সরকারের নিশ্চুপ অবস্থানকে আমরা চূড়ান্ত প্রতিবাদ করছি।

    আমরা জনসাধারণকে আবেদন জানাচ্ছি রামদেবের গ্রেপ্তারের দাবিতে সকলে সোচ্চার হোন।”