সায়নী ঘোষের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে মেদিনীপুর রাজপথে তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির বিক্ষোভ মিছিল

নিজস্ব প্রতিবেদক: ত্রিপুরায় ২৫ নভেম্বর পুরসভা এবং নগর পঞ্চায়েতের ভোট ভোটের আগে সে রাজ্যে শাসকদল বিজেপি-র হাতে বারবার আক্রান্ত হচ্ছেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। গত কয়েক মাস ধরে একাধিক বার হামলা হয়েছে তাঁদের উপর। এই পরিস্থিতিতে ত্রিপুরার আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। কোনও বিরোধী দলকে সভা করার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না সেখানে।

    রবিবার আচমকা পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল যুব সভানেত্রী সায়নী ঘোষের হোটেলে গিয়ে হাজির হয় ত্রিপুরা রাজ্য পুলিশ এবং সায়নী ঘোষকে গ্রেফতার করা হয়। সূত্রেজানা গেছে , শনিবার রাতে প্রচার সেরে হোটেলে ফিরছিলেন তৃণমূল নেত্রী সায়নী ঘোষ। গাড়ির পিছনের আসনে বসেছিলেন প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ অর্পিতা ঘোষ এবং তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র সুদীপ রাহা। গাড়িটি যানজটে আটকে যাওয়ার ফলে সায়নীকে দেখে হাত দেখান সেই জায়গায় উপস্থিত আশপাশের লোকেরা। পাশাপাশি “খেলা হবে” স্লোগানও দিতে থাকেন সায়নী ঘোষ। ত্রিপুরা পুলিশের অভিযোগ, সেই সময় নাকি সায়নীর গাড়ির ধাক্কায় এক ব্যক্তি আহত হন এবং খেলা হবে শ্লোগানের জন্য এলাকায় উত্তপ্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। সায়নী ঘোষকে আগরতলা পূর্ব মহিলা থানায় জিজ্ঞাসাবাদের সময় থানা চত্বরে ঢুকে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের ওপর বর্বরোচিত হামলা চালায়। সায়নীর আইনজীবী “খেলা হবে” স্লোগানকে “পলিটিক্যাল স্লোগান” বলে চিহ্নিত করেছেন। এই ঘটনার পর থেকেই রীতিমত উত্তাল হয়ে ওঠে ত্রিপুরা রাজ্য রাজনীতি। এই বর্বরোচিত ঘটনার তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানিয়েছেন ত্রিপুরার সিপিএম নেতৃত্ব।

    এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আজ গোটা রাজ্য জুড়ে প্রতিবাদ মিছিল হয়। মঙ্গলবার মেদিনীপুর শহরের রাজপথে এক বিশাল ধিক্কার মিছিল বের করে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি। মিছিলে পশ্চিম মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা , পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি অনিমেষ দে সহ অন্যান্য নেতৃত্ব বৃন্দ ও বিভিন্ন চক্রের শিক্ষক নেতৃত্বরা মিছিলে পা মেলান।