ইডেনে বিজেপি যুব মোর্চার বিক্ষোভ অভিযান ঘিরে উত্তেজনা, গ্রেফতার ষাট সমর্থক

শরিফুল ইসলাম,নতুন গতি: ইডেনে পাক খেলোয়াড়দের ছবি সরানোর দাবি কে কেন্দ্র করে বিজেপির যুবমোর্চার দফায় দফায় অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচির সামাল দেওয়ার সময় পুলিশ ও মোর্চা সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক ধস্তাধস্তির জেরে ইডেনের সম্মুখস্থল রণ ক্ষেত্রের চেহারা নেয়।

    উল্লেখ্য, জম্মু-কাশ্মীর পুলওয়ামায় অতর্কিতে জঙ্গি হানায় উপত্যকার মাটি শহীদদের রক্তে রঞ্জিত হয়। ঘটনায় পাক মদত এবং ভারতীয় জওয়ানদের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে দেশ উত্তাল হয়। প্রতিবাদ আর প্রতিরোধের উত্তাপে দেশ তেতে ওঠে। শুরু হয়ে যায় রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে পাকিস্তান কে সবক শেখানোর নতুন নতুন কৌশল। তবে এতদিন সবই চলছিল রাষ্ট্র ব্যবস্থা ও দেশের আমজনতার স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়ার ফলশ্রুতি। রাজনৈতিক অনুপ্রবেশ সেই অর্থে ঘটে নি। কিন্তু নির্বাচন সামনে থাকায় কিছু কিছু রাজনীতি দল সংবেদনশীল পরিস্থিতির পূর্ণ সদ্ব্যবহার করতে তৎপর।
    ঘটনার জেরে দেশের বিভিন্ন স্টেডিয়াম থেকে পাক খেলোয়াড়দের ছবি সরিয়ে নেওয়া হতে দেখা যায়। মুম্বাই, মোহালি,জয়পুর, ধরমশালার মতন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়ামের পর এবার নজর পড়লো পশ্চিমবঙ্গের ইডেনে।
    অনন্যা স্টেডিয়ামের মতোই বাংলার ইডেন থেকেও কেন সরানো হবে না পাকিস্তানের ক্রিকেট তারকাদের ছবি, প্রশ্ন তোলে বিজেপির বঙ্গ বিগ্রেড। শুরু হয়ে যায় সেই প্রশ্ন ঘিরে উত্তেজনা। এরই মধ্যে, বিজেপির যুবমোর্চা আরম্ভ করে দেয় খেল। তাঁদের দাবি অবিলম্বে ইডেন থেকে সরিয়ে নিতে হবে পাক প্রধানমন্ত্রী তথা পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেট অধিনায়ক ইমরান খান, ওয়াসিম আক্রম,সোয়েব আখতারদের ছবি।

    শনিবার ছিল বিজেপি যুব মোর্চার ইডেন বিক্ষোভ অভিযান। এদিন সকাল থেকেই বিভিন্ন এলাকা থেকে যুব মোর্চার সদস্যরা আলাদা আলাদা ভাবে ইডেনে জমায়েত হন। বিক্ষোভ অভিযান কে সামনে রেখে গন্ডগোল বা উত্তেজনার আঁচ পেয়ে রাজ্য পুলিশও প্রস্তুত ছিল। মোর্চার সদস্যরা ইডেনে ক্লাব হাউসে জোর করে ঢোকার চেষ্টা করলে গন্ডগোলের সূত্রপাত হয়। পুলিশ মহিলা সহ প্রায় ষাটজন বিজেপি সমর্থকদের গ্রেফতার করে।

    পরে এক অনুষ্ঠানে সিএবি-র প্রেসিডেন্ট সৌরভের প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে এদিনের ঘটনা নিয়ে মুখ না খুললেও জানিয়ে দেন এব্যাপারে যা বলার তিনি আগেই বলে দিয়েছেন।
    প্রসঙ্গত উল্লেখ্য , যা, বলার আগেই তিনি যা বলেছিলেন তা হলো , পাকিস্তানের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে।
    অতীতে ভারত পাকিস্তান ক্রিকেট খেলায় পাকিস্তানের মাটিতে ভালো ভালো কথা বলেও কেন প্রাক্তন এই অধিনায়ক এখন ভোল বদলালেন সেটা জানা যায়নি। তবে, খেলার মধ্যে সীমানা টানার পক্ষপাতী নন ভারতের ওপর দুই ক্রিকেটের কিংবদন্তি সুনীল গাভাস্কর ,সচিন টেন্ডুলকার।
    তাঁদের সাফ বক্তব্য , বিশ্বকাপে পাকিস্তানের সঙ্গে ভারত না খেলার অর্থ বিশ্বকাপের পথে পাকিস্তান কে কার্যত দুই পয়েন্টের সুবিধা পাইয়ে এগিয়ে দেওয়া।