|
---|
করোনার জেরে থমকে গেল নাগরিকত্ব আইন ও এনআরসি বিরোধী আন্দোলনের মুখ শাহীনবাগ
নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: 101 দিন ধরে চলতে থাকা নাগরিকত্ব আইন এনআরসি এনপিআর বিরোধী যে আন্দোলন এবং দেশব্যাপী যে আন্দোলন চলছিল তার কেন্দ্রভূমি হয়ে উঠেছিল এই শাহীনবাগ। বহু সমালোচনা এবং হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের আক্রমণের পরেও আন্দোলনকারীরা কোনমতে দমে যায়নি বা সেখান থেকে সরে যায়নি।
সারা দেশ থেকে আন্দোলনকারীরা প্রতিবাদ সেখানে গিয়ে বা বিভিন্নভাবে এই শাহবাগের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছেন । বহু বলিউড অভিনেতা অভিনেত্রী শিল্পী লেখক সমাজকর্মী সকলে একযোগে এসে দাঁড়িয়েছিলেন এই শাহীনবাগ এর পাশে ফলে দেশব্যাপী এই শাহবাগের আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছিল এবং দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চলতে থাকা আন্দোলনকে আন্দোলনকারী কে উৎসাহ জুগিয়ে ছিল।
কিন্তু বিগত কয়েক সপ্তাহ থেকে করোনাভাইরাস এর জেরে গোটা পৃথিবীতে যেভাবে মহামারী সৃষ্টি হয়েছে তার আজ এসে পড়েছে রাজধানী দিল্লি সহ গোটা ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা ভারতে বর্তমানে 500 বেশি এবং এখন অব্দি 9 জনের মৃত্যু হয়েছে। পশ্চিমের দেশগুলোতে এর প্রভাব এবং প্রকোপ আরও বেশি সেখানে হাজারে হাজারে মানুষ মারা গেছে। এই মহামারী সূত্রপাত চীনে হলেও সেখানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা গেছে কিন্তু বর্তমানে এই কোন ভাইরাসের প্রকোপে ইতালিতে সবথেকে বেশি মানুষের প্রাণ গেছে। ইতালিতে একদিনে 800 বেশি মানুষ মারা গেছে রেকর্ডসংখ্যক, আক্রান্ত 50 হাজারের বেশি।
তাই ভারত সরকার দেরিতে হলেও তড়িঘড়ি তৎপর হয়েছে এই মহামারী কে রুখতে, এই ভাইরাস বাতাসের বেঁচে থাকে নিঃশ্বাসে-প্রশ্বাসে মানুষের শরীরে প্রবেশ করতে পারে তাই বহুৎ শহর এই মুহূর্তে কার্যত লকডাউন করা হয়েছে এবং 144 ধারা জারি করা হয়েছে।
এই পরিস্থিতি গোটা পৃথিবীর বহু শহরের যেখানে শহরকে শহর লক ডাউন করে দেয়া হয়েছে। এখন সেই প্রক্রিয়া রাজধানী দিল্লিতেও শুরু হয়েছে সেখানেও এই ভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে ফলে সময় থাকতে যাতে এই মহামারী কে রাখা যায় তাই এই পদক্ষেপ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আপাতত করনা ভাইরাসের ফলে যে মহামারী সৃষ্টি হয়েছে সেই কারণে 144 ধারা জারি থাকার ফলে এই আন্দোলনকারীদেরকে এবং আন্দোলন মঞ্চ সরিয়ে দেওয়া হয়েছে কিন্তু ভবিষ্যতে আবার তারা সেখানে আন্দোলনে বসবে কিনা সেটা এখন সময় বলবে।