|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা, নতুন গতি, মেদিনীপুর: শুক্রবার কেন্দ্রের কৃষক মারা কৃষিবিল ও মানুষমারা অত্যাবশকীয় নতুন পন্য আইন এর বিরুদ্ধে জনরোষের চেহারায় মানুষ প্রতিবাদের সাথে প্রতিরোধে বার্তা দিলেন চারটি স্থানে জাতীয় সড়ক অবরোধ সহ বিক্ষোভে সামিল হয়ে।
কৃষক সহ জনজীবনের ক্ষোভের আগুন ছড়িয়ে পড়লো জাতীয় সড়কের উপর। কৃষান-মজদুর- নওজোয়ান দখল নিলো ঘন্টার পর ঘন্টা জেলার মধ্যে দিয়ে যাওয়া দুইটি জাতীয় সড়কের তিনটি স্থান ও ঘাটাল হয়ে বর্ধমান যাওয়া ব্যাস্ততম রাজ্যসড়ক সহ চারটি স্থানে। সামিল হলেন হাজার হাজার প্রান্তিক মানুষ। প্রাকৃতিক বিপর্যয় জল বৃষ্টির মধ্যে ডেবরা ব্লকের দলবতিপুর, ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক বোম্বে রোডের উপর তখন মানুষ থিক থিক করছে। খোলা আকাশের নীচে বৃষ্টির মধ্যেই দেশের পয়লা নম্বর চিহ্নিত কর্পোরেটের দালাল, কৃষক ও সাধারন মানুষের দুষমন, দেশকে দেউলিয়া করার সাথে কৃষক শ্রমিক দের কৃতদাসে পরিনত করার ষড়যন্ত্রী দেশের প্রধান মন্ত্রী ও তার দল বিজেপি কে জন বিছিন্ন করার আহ্বান জানিয়ে মিছিল এগিয়ে চলে। মিছিলের সামনের সারিতে কৃষক ও শ্রমিক আন্দোলনের নেতৃত্ব তরুন রায়, সুভাষ দে, অশোক সেন, সমর মুখার্জি, গোপাল প্রামানিক। ডেবরাতে সাড়ে দশটায় ছয় লেন জুড়ে শুরু হওয়া মিছিল এগিয়ে চলে পাঁচ কিমি পথ। তখনো বৃষ্টি। দলবতিপুর এলাকায় জাতীয় সড়কের ছয়টি লেন অবরুদ্ধ হয়। বৃষ্টি বন্ধ হলেও শ্লোগান আর বিক্ষোভ সভা চলে সড়ক রাতার উপর বেলা ১২ টা ২০ মিনিট পর্যন্ত প্রায় ২ ঘন্টা।কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষক মারা বিল, মানুষ মারা অর্থনীতির বিরুদ্ধে বক্তব্য তুলে ধরেন তরুন রায় সুভাষ দে অশোক সেন, গীতা হাঁসদা, গোপাল প্রামানিক প্রমুখ।
নারায়নগড়ের সুপ্রিম কারখানার সামনে ৬০ নম্বর চেন্নাই দূর্গাপুর জাতীয় সড়ক অবরোধে সামিল হোন কয়েক হাজার মানুষ। নারায়নগড় বাজার থেকে মিছিল শুরু হয়ে জাতীয় সড়কের উক্ত স্থানের ঘন্টা দেড়েক পথ অবোরোধ ও বিক্ষোভ হয়। বিক্ষোভ সভায় কৃষক নেতা তাপস সিনহা, শ্রমিক নেতা বিপ্লব ভট্ট সহ বাম সংগঠনের নেতৃত্ব বৃন্দ।
অপরদিকে গড়বেতা তিন নম্বর ব্লকের চন্দ্রকোনারোডে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে চলে অবরোধ ও বিক্ষোভ সভা। কৃষক নেতা মেঘনাদ ভূঁইয়া, শ্রমিক নেতা কীর্তিদে বক্সী সহ প্রভাস পাত্র, দিলীপ নায়ক, কৃষ্ণপ্রসাদ দুলে প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
ঘাটাল শহরেও বিরাট মিছিল সহ রাজ্যসড়কের উপর অবস্থান বিক্ষোভ সভা হয়। শ্রমিক নেতা অশোক সাঁতরা, উত্তম মন্ডল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
জেলার কৃষক ক্ষেতমজুর সজ পানচাষী, মাছ চাষী, সবজী সহ আলু চাষী এমন বহু ক্ষেত্রের কৃষক সমাজ চুক্তি চাষের খপ্পরে পড়ে গত পাঁচ সাত বছরে যে সবনাশের শিকার হয়েছেন তার প্রতিকার ও প্রতিরোধ চেয়ে জেলায় ১২ হাজার অধিক মানুষ আজ এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহন করেন।