|
---|
আজিম শেখ,নতুন গতি, রামপুরহাট। এবার রামপুরহাট পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের বাড়ি ঘিরে কাটমানি ফেরতের দাবি জানালেন প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার উপভোক্তারা। কাউন্সিলর বাড়িতে না থাকায় তারা ফিরে যান। তবে টাকা ফেরত নিয়ে ছাড়বেন বলে তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে গিয়েছেন।
কাটমানি নিয়ে রাজ্য জুড়ে বিক্ষোভ চলছে। দিন কয়েক আগে রামপুরহাট পুরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলরের বাড়ি গিরে বিক্ষোভ দেখিয়েছিল উপভোক্তারা। এবার ১১ নম্বর ওয়ার্ডে। ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রজাপতি ধীবর নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে জয়ী হয়েছিলেন। কিন্তু জনগনের উন্নয়নের স্বার্থে তিনি তৃণমূলে যোগদান করেন। এলাকার মানুষের দাবি নিজের উন্নয়ন বেশি দেখেছেন কাউন্সিলর। প্রতিবাদে এদিন ওয়ার্ডের বেশ কয়েকজন উপভোক্তা প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে কাউন্সিলরের ঘর ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায়। তাদের দাবি বাড়ি নির্মাণ থেকে শৌচাগার সব ক্ষেত্রে ঠিকাদারের মাধ্যমে টাকা খেয়েছে কাউন্সিলর।
এলাকার বাসিন্দা রাজু প্রামানিক, রানু বাগদি, কুদ্দুস শেখরা বলেন, “বাড়ি নির্মাণের জন্য ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা করে নিয়েছে ঠিকাদার। শৌচাগার নির্মাণের জন্যও টাকা নিয়েছে। অনেকের বাড়িতে এখন শৌচাগার নির্মাণ হয়নি। কারও কারও নিম্নমানের বাড়ি নির্মাণ করা হয়েছে। বাড়ির ছাদ চুঁয়ে জল পড়ছে”।
রাজু বলেন, “কাউন্সিলর ওই ঠিকাদার নিয়োগ করেছে। এখনও আমি ঘরে ঢুকিনি। অথচ বাড়ির ছাদ চুঁয়ে জল ভিতরে পড়ছে। ঠিকাদারকে বার বার বলেও কাজ হয়নি। আবার একটু অন্য কাজ করতে গেলে ঠিকাদার ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা দাবি করছে। তাই আমরা কাউন্সিলরের বাড়ি এসেছিলাম। কিন্তু আমাদের আসার খবর পেয়ে পালিয়ে যায় কাউন্সিলর। তবে আমরা টাকা আদায় করে ছাড়ব”।
কাউন্সিলর প্রজাপতি ধীবরের স্বামী সেন্টু ধীবর বলেন, “যারা টাকা খাওয়ার অভিযোগ করছে তারা প্রমান করুক। প্রয়োজন হলে লিখিত অভিযোগ করুক পুরসভায়। যদি কারও বাড়ি নিম্নমানের হয়েছে তাও লিখিতভাবে জানাক। আমি এদিন বাড়িতে ছিলাম। তখন ওরা আমার বাড়ি গিয়েছে শুনলাম। কিন্তু আমি ছেলেকে নিয়ে একটু ব্যস্ত রয়েছি”।
রামপুরহাট পুরসভার চেয়ারম্যান অশ্বিনী তেওয়ারি বলেন, “রামপুরহাট পুসরভা এলাকায় কেউ কাটমানি নেয়নি। উল্টে কারও সমস্যা হলে দিয়েছে কাউন্সিলররা। কারও অভিযোগ থাকলে লিখিতভাবে জানাক। এখনও পর্যন্ত কেউ লিখিত জমা দেয়নি। আর উপভোক্তারাই ঠিকাদার নিয়োগ করেছে”।