|
---|
নুরউদ্দিন: দক্ষিণ ২৪ পরগনা, থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত এবং অনাথ শিশুদের হাতে পূজোর উপহার তুলে দেওয়া হয়,সাথে সাথে থ্যালাসেমিয়া শনাক্তকরণ ও সচেনতা শিবিরের আয়োজন রায়দিঘি গ্রামীণ হাসপাতালে।
আমরা রক্ত যোদ্ধা গ্রূপের সহযোগিতায় থ্যালাসেমিয়া ও অনাথ শিশুদের হাতে তুলে দেয়া হয় পুজোর উপহার।থ্যালাসিমায়া একটি বংশগত রক্তের ব্যাধি,যেখানে শরীর পর্যাপ্ত হিমোগ্লোবিন তৈরি করতে অক্ষম, এখনো পর্যন্ত দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার মথুরাপুর দু’নম্বর ব্লকের ৯০ এর বেশি শিশু থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রন্ত।
থ্যালাসেমিয়া রোগীরা তাদের শরীরে লোহিত রক্তকণিকা তৈরি করতে পারে না, এবং তাদের জীবনের শেষ পর্যন্ত প্রতি ১৫ থেকে ২০ দিনের জন্য বারবার রক্ত সঞ্চালন করতে হয়।
এই অনুষ্ঠানে মথুরাপুর দু’নম্বর ব্লকের ৯০ টি থ্যালাসিমিয়া আক্রান্ত এবং ৪০ জন অনাথ শিশু উপস্থিত হয়,তাঁদের পরিবারকে এবং স্থানীয়দের থ্যালাসেমিয়া সম্পর্কে সচেতনতামূলক উপদেশ দেয়া হয় রায়দিঘির এই অনুষ্ঠান থেকে।সাথে সাথে ৯০ টি থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত ও ৪০টি অনাথ শিশুদের হাতে পুজোর উপহার হিসাবে তুলে দেওয়া হলো বস্তু,পুষ্টিকর খাদ্য ও নারকেল চারা গাছ, এবং ড্রয়িং।এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মথুরাপুর ২ ব্লক অধিকারিক নাজির হোসেন রায়দিঘি গ্রামীণ হাসপাতালের বি এম ও এইজ ডাঃ বিনীত রঞ্জন, উপস্থিত ছিলেন ডাক্তার তাপস দাস, উপস্থিত ছিলেন রক্ত যোদ্ধা গ্রুপের বিশিষ্ট আধিকারি সুদীপ মন্ডল সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গরা।
এই অনুষ্ঠান থেকে রক্ত যোদ্ধা গ্রুপের মেম্বার সুদীপ মণ্ডল বলেন, আমাদের রক্তযোদ্ধা গ্রুপ ২০২০ সালের মে মাসে স্থাপিত হয়, মূলত আমাদের ব্লকে যে সকল থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত শিশু রয়েছে তাদের যে রক্তের প্রয়োজন রক্তের সংকট সেটা মেটানোর জন্য আমাদের এই গ্রুপ কাজ করে, আমাদের ব্লক মথুরাপুর টু, এই ব্লকের ৯০ এর বেশি থ্যালাসেমিয়া বাচ্চা রয়েছে, সারা বছর যে তাদের রক্তের প্রয়োজন হয়, আমাদের রক্তযোদ্ধা গ্রুপের যে সকল মেম্বার রয়েছে সে সকল মেম্বার কখনো ব্লাড ব্যাংকে কখনো ক্যাম্পের মাধ্যমে রক্তের ব্যবস্থা করা হয় সেইসকল শিশুদের জন্য। আজকের মূলত সেই সব বাচ্চাগুলির হাতে পুজোর উপহার হিসাবে তুলে দেয়া হলো নতুন পোশাক, ২০২০ সাল থেকে রক্ত যোদ্ধা গ্রুপের পক্ষ থেকে যে সকল থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত সকল শিশুদের হাতেই বস্ত্র এবং পুষ্টিকর দিয়ে আসছি, সাথে সাথে একটি করে নারকেল চারা দেওয়া হচ্ছে,ফলের চারাটি লাগিয়ে আগামী দিনে যে ফলের প্রয়োজনটা আছে সেটা পূরণ করতে পারবে তারা। আজকের ৯০ টি থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত এবং ৪০টি অনাথ শিশু অর্থাৎ ১৩০ টি বাচ্চার হাতে তুলে দেয়া হলো বস্তু, নারকেল চারা ও পুষ্টিকর খাদ্য।