পূর্ব বর্ধমানে বড়শুলে চপ খেতে এলেন মীর

লুতুব আলি : বর্ধমানে চপ খেতে এলেন মীর। বর্ধমানের উপকণ্ঠে বড়শুলে কিশোরী মান্নার ভ্যারাইটিজ চপ খেয়ে গেলেন মীর। শক্তিগড় এর ল্যাংচার পরই বড়শুলের চপ বিখ্যাত হয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অনেক মানুষ ছুটে আসছেন চপ খেতে। বড়শুলে চপ খেতে এসে মীর বলেন,দীর্ঘদিন ধরে বড়শুলের চপের সুনাম শুনে আসছি কিন্তু সমযের অভাবে আসা যাচ্ছিলনা , এসে যখন পড়েছি তার সদ্যবহার করে ফেললাম।প্রায় চার দশক ধরে কিশোরী মান্না চপ ভাজছেন।তিল তিল করে অধ্যবসায়ের ফলশ্রুতিতে তিনি আজ সকলের নজর কেড়ে ছেন। বয়স বাড়ার কারণে কিশোরীবাবু চপের ব্যবসাতে তাঁর ছেলে সন্তোষকে বসিয়েছেন।তবুও তিনি এখনও পুরোপুরি হাল ছাড়েননি।প্রতিদিন যতটা পারেন সময় দেন।চপের দোকানে কিশোরীবাবুর স্ত্রী,এবং নাতি সকলে মিলেই দোকান চালান। ভ্যারাইটিজ চপ ভাজেন কিশোরীবাবু।উল্লেখযোগ্য হল চিকেন চপ,সয়াবিনের চপ,চিংড়ির চপ,ভেজিটেবল চপ।সন্ধ্যা নামতে না নামতে নামতে হু হু করে বিক্রি হয়ে যায়।বর্ধমান,আসানসোল,দুর্গাপুর,কলকাতা, প্রভৃতি জায়গা থেকে প্রতিদিন চপ খেতে আসেন।কিশোরীবাবুর ছেলে সন্তোষ মান্না বলেন,এবার দিদিকে চপ খাওয়াতে চান।রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ ব্যাপারে আমন্ত্রণ জানাতে চান।তিনি আরও বলেন,বিশ্ববাংলা ব্রান্ডের ভিতর এই চপকে স্থান করে দিলে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দাবি জানাবো।অন্যদিকে এদিন চপ খাওয়ার পর মীর কে এলাকা বাসীরা ফুল দিয়ে অভিবাদন জানান।