|
---|
লুতুব আলি, বর্ধমান, নতুন গতি : পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরে বন্যা দুর্গতদের খাবার পরিবেশন করলেন দুই মন্ত্রী। ডিভিসি মাত্রা অতিরিক্ত জল ছাড়া পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরে দামোদরের অববাহিকায় প্রবল জলোচ্ছ্বাস এবং বাঁধ ভাঙ্গায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বন্যা কবলিত দুর্গতদের পাশে এসে দাঁড়ালেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ও স্বপন দেবনাথ সহ বিভিন্ন আধিকারিকরা। গতকালই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন বন্যা কবলিত সমস্ত দুর্গত মানুষদের পাশে মা মাটি মানুষের সরকার আছে। গতকাল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হুগলির বন্যা কবলিত হুগলির বন্যা কবলিত পুড়শুড়া ও খানাকুল এলাকা সরজমিনে পরিদর্শন করে গেছেন। বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় তিনি সরাসরি ডিভীষিক কর্তৃপক্ষকে দোষারোপ করেন। এটিকে তিনি ম্যান মেড বন্যা বলে অভিহিত করেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ১৯ সেপ্টেম্বর পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের বন্যা কবলিত এলাকা এসে পরিদর্শন করেন রাজ্যের ক্রীড়া ও যুব কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এবং প্রাণিসম্পদ দপ্তরের মন্ত্রি স্বপন দেবনাথ। জামালপুরের জোতশ্রীরামের সাহোহোসেনপুরে ফ্লাড সেন্টারে গিয়ে সেখানে আশ্রয় নেয়া মানুষদের সাথে কথা বলেন ও তাদের খোঁজ খবর নেন। সকলের খাবার পাচ্ছেন কিনা বা অন্য কোন অসুবিধা হচ্ছে কিনা সে বিষয়েও দুই মন্ত্রী খোঁজ নেন। অরূপ বিশ্বাস অভিযোগ করেন ডিবিসি অন্যায় ভাবে জল ছেড়ে রাজ্যকে বিপদে ফেলেছে। কিন্তু যতদিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রয়েছেন ততদিন রাজ্যের মানুষদের কেউ কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। যাদের চাষের জমি জল ঢুকে ফসল নষ্ট হয়েছে তাদের তিনি শস্য বীমা করার জন্য বলেন। জামালপুরের বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শনে আরো যারা ছিলেন তারা হলেন পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়, জিলা পরিষদের সভাধিপতি শ্যামাপ্রসন্ন লোহার, পূর্ব বর্ধমান জেলা যুব কংগ্রেস সভাপতি রাসবিহারী হালদার, অতিরিক্ত জেলাশাসক উন্নয়ন প্রসেনজিৎ দাস, সদর দক্ষিণ মহকুমা শাসক বুদ্ধদেব পান, সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক পার্থসারথী দে, জামালপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি মেহমুদ খান, জেলা পরিষদের প্রাক্তন মেন্টর উজ্জ্বল প্রামাণিক, জামালপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পূর্ণিমা মালিক, সহ-সভাপতি ভূতনাথ মালিক, শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি তাবারক আলী মন্ডল, অঞ্চল সভাপতি তপন দে সহ অন্যান্যরা। বন্যা কবলিত মানুষরা মন্ত্রী ও অন্যান্য আধিকারিকদের পেয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস নিজে দাঁড়িয়ে থেকে দুপুরের খাবার বিতরণের তদারকি করেন এবং পরিবেশন করেন। এই দৃশ্য দেখে অনেকে হতবাক ও হয়ে গেছেন!