পূর্ব বর্ধমান জেলা শাখার ১৬তম ত্রি-বার্ষিক মাদ্রাসা শিক্ষক -শিক্ষা কর্মী সমিতির জেলা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলো

নিজস্ব সংবাদদাতা : আজ ৬ই নভেম্বর ২০২২ মাদ্রাসা শিক্ষক -শিক্ষা কর্মী সমিতির ,পূর্ব বর্ধমান জেলা শাখার,১৬তম ত্রি-বার্ষিক জেলা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলো, বিজ্ঞান কেন্দ্র ,গোলাপবাগ, বর্ধমান।উপস্থিত ছিলেন মমতাজ সংঘমিতা (প্রাক্তন সংসদ ও সংখ্যালঘু কমিশনের চেয়ারপারসন)উজ্জল প্রামানিক(প্রাক্তন বিধায়ক ও মেন্টর বর্ধমান জেলা পরিষদ) আলী হোসেন মিদ্দা (সম্পাদক রাজ্য কমিটি)রথীন মল্লিক বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ। রফিকুল ইসলাম রাজ্য সম্পাদক।আব্দুল গনি উপদেষ্টা কমিটি।শফিকুল ইসলাম বিশিষ্ট সাংবাদিক ও সমাজসেবী। শেখ মনোয়ার হোসেন সমাজসেবী ও শিক্ষা অনুরাগী।শেখ খয়র উদ্দিন সভাপতি, পূর্ব বর্ধমান শাখা।উক্ত সম্মেলন থেকে দাবি উঠে আসে যে – ১)ওয়াকাফ সম্পত্তি দখলমুক্ত করে তার আয় থেকে সংখ্যালঘুদের উন্নয়নে ব্যয় করতে হবে।২) সংখ্যালঘু মর্যাদা অক্ষুন্ন রেখে সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে নিয়োগ করতে হবে।
৩) সাধারণ স্কুলের “উৎস শ্রী”মত মাদ্রাসা শিক্ষক-শিক্ষিকা কর্মীদের অনলাইন ট্রান্সফার পোর্টাল চালু করতে হবে।৪) সমস্ত মাদ্রাসাকে উচ্চ মাধ্যমিকের উন্নত করতে হবে।৫) বকেয়া মহার্ঘভাতা অবিলম্বে মেটাতে হবে।৬) জেলার প্রতিটি কলেজে আরবি ভাষা ও সাহিত্য স্নাতক ও সম্মানিক কোর্স করছে চালু করতে হবে।৭) প্রতি মহকুমায় ইংলিশ মিডিয়াম মডেল মাদ্রাসা চালু করতে হবে এবং মডেল মাদ্রাসায় দ্রুত স্থায়ী শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে। ৮) সমস্ত সাধারণ স্কুলে মুসলিম ছাত্রদের আরবি পড়তে ইচ্ছুকদের আরবি চালু করতে হবে। ৯) মাদ্রাসার সমস্ত শূন্য পদ অবিলম্বে নিয়োগ করতে হবে।১০) প্রতিটি মাদ্রাসায় কম্পিউটার শিক্ষা ও কম্পিউটার শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে। ১১) জেলার সংখ্যালঘু দপ্তরকে সুষ্ঠুভাবে কাজ করার জন্য আধিকারিক ও কর্মী নিয়োগ করতে হবে। ১২) এমএসকে শিক্ষক শিক্ষা কর্মীদের সম্মানজনক বেতন প্রদান করতে হবে। ইত্যাদি।
সংখ্যালঘু কমিশনের চেয়ারপারসন মমতাজ সংঘমিতা , জানালেন যে তার কাছে যে সব মাদ্রাসা উন্নয়নের প্রস্তাব আসবে তা তিনি যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে বিবেচনা করে, নির্দিষ্ট দপ্তরে পাঠিয়ে দেবেন।