|
---|
নতুন গতি ওয়েব ডেস্ক: রফিজা একটি লড়াইয়ের নাম। কৃষ্ণচন্দ্রপুর হাইস্কুলের প্রাক্তন ছাত্রী লালপুরের শিবগঞ্জের রফিজা স্বয়ংসিদ্ধা গ্রুপের সদস্য ছিল। নাবালিকা বিয়ে বন্ধের ক্ষেত্রে তার ভূমিকা চোখে পড়ার মতো। দিদি নম্বর ওয়ান এ অংশগ্রহণকারী ও তিনি। দশম শ্রেণীতে পড়াকালীন তার বাবা-মা বিয়ের ব্যবস্থা পাকা করে ফেলেছিল। এ কথা জানতে পেরে স্বয়ংসিদ্ধা গ্রুপ কে সঙ্গে নিয়ে কৃষ্ণচন্দ্রপুর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক চন্দন কুমার মখিতি সেই বিয়ে বন্ধ করে দেয়। পরবর্তী পর্যায়ে ওই স্কুল থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে দিনমজুর বাবার এই কন্যাটি। বিয়ের ব্যবস্থা হয় মনিরতট নিবাসী এক ব্যবসায়ী পরিবারের সঙ্গে। একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেয় সে। তার পরেই তার উপর চলতে থাকে শ্বশুরবাড়ির নানা অত্যাচার। অবশেষে গলায় ফাঁস লাগিয়ে (ওড়না দিয়ে) ঝুলিয়ে দেওয়া চেষ্টা করা হয়। কোনোক্রমে রফিযাকে ডায়মন্ডহারবার এর এক বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি করে শ্বশুর বাড়ির লোকেরা পালিয়ে যায়। এ নিয়ে চন্দন কুমার মাইতি জানান – গরিব বাবা আমাদের দ্বারস্থ হলেন। আমরা নার্সিংহোম এর সঙ্গে কথা বলে টাকা কমিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করি।তাকে ছাড়িয়া আনা হয়। আমাদের এক শুভানুধ্যায়ী পেশায় মেরিন ইঞ্জিনিয়ার ওর জন্য কিছু অর্থ সাহায্য পাঠালে তার হাতে তুলে দিয়ে আগামী পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার কথা বলি। একটি বড় চ্যালেঞ্জ নিয়েছে ও। এক বছরের শিশুকন্যাকে নিয়ে বাপের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে সে।গলায় ফাঁসের কালো দাগ স্পষ্ট।গলা দিয়ে শক্ত কিছু খেতে পারছে না।মাঝে মাঝেই মানসিক যন্ত্রণার সাথে শারীরিক যন্ত্রনায় কাতরাচ্ছে। আগামীদিনে সুবিচার চেয়ে থানার দ্বারস্থ সে। বকুলতলা থানা তার বিচার করবে। আদালত সঠিক বিচার করবে এই আশা নিয়ে বুক বাঁধছে লালপুরের এই কন্যাটি। আমরা সবাই ওর পাশে থাকি আসুন।