প্রত্যাশা মেটাতে অক্সিজেন, এ্যম্বুলেন্স, ঔষুধপত্রের জোগান খালেক নেতৃত্বে রহিমদের

মহিউদ্দীন আহমেদ, বোলপুর: করোনা আবহকালে জরুরী প্রয়োজনে কারোর দরকার অক্সিজেন তো কারোর দরকার অক্সি-মিটার। আবার কারোর দরকার ঔষুধ পত্র। বোলপুর শহর থেকে দূরের গ্রাম ভিত্তিক ছোট বাজার ইলামবাজার ও পার্শ্ববর্তী গ্রাম সমূহের সাধারন মানুষের কাছে এই মহামারীর সময়কালে সব ধরনের পরিষেবা পৌছে দিতে উদ্যেগী হয়েছে ইলামবাজারের প্রত্যাশা নামক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। সংগঠনের সভাপতি পেশায় স্কুল শিক্ষক নেশায় সমাজকর্মী আব্দুল খালেক মল্লিকের নেতৃত্বে দিনরাত সমানে নিঃস্বার্থভাবে সেবামূলক কাজ করে চলেছেন আব্দুর রহিম, ইয়াকুব খাদিম, রাজকুমার, শামীম, পারভেজ, জিন্নাতুল নাইম সহ আরো জনা দশেক তরুন যুবকেরা।

    প্রত্যাশার কর্নধার আব্দুল খালেক মল্লিক বলেন, ইলামবাজার ও পাশ্ববর্তী নানাসোল, ঘুড়িষা, বিলাতি-সুলতানপুর, ধরমপুর, বাতিকার, মঙ্গলডিহি, জয়দেব, শিরসা সহ ৯ টি অঞ্চলে একাধিক গ্রামের সাধারন গরিব মানুষ এমন অতিমারী সময়কালে খুব সমস্যায় পড়ছেন। অনেকেই যেমন কোরনা আক্রান্ত হয়ে অক্সিজেনের অভাবে ভুগছেন তেমনি অনেকের অক্সিজেনের মাত্রা মাপার জন্য অক্সি-মিটার থেকে ঔষুধপত্রের জোগানোর দরকার পড়ছে। সবার সব জায়গায় যোগাযোগ থাকেনা আবার যোগাযোগ থাকলেও গরিব মানুষ অক্সিজেনের অভাবে মারাও যাচ্ছেন। আমাদের ইলামবাজার ব্লকের বিভিন্ন অঞ্চলে স্বেচ্ছাসেবকদের ভাগ করে দেওয়া হয়েছে নিজ নিজ এলাকায়। তার যোগাযোগ নম্বরও সোস্যাল মিডিয়া সহ পঞ্চায়েত সদস্য, কতৃপক্ষের হাতে দেওয়া হয়েছে। সাধারন মানুষ সমস্যায় পড়লে তারা ফোন করলেই আমাদের স্বেচ্ছাসেবকরা রোগীর বাড়ীতে পৌছে যাচ্ছেন। প্রত্যাশার এই সেবামূলক কাজের প্রশংসা করে পাশে দাঁড়িয়েছেন বোলপুরের বিধায়ক মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিন্হা। তিনি দশটি অক্সিজেন সিলিন্ডার দিয়েছেন। যে সিলিন্ডার প্রত্যাশার সদস্যদের মারফৎ পৌছে যাচ্ছে গ্রামে গ্রামে। তাছাড়াও যে কোন মানুষের ঔষুধ সহ কোন রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করা সহ যাবতীয় প্রয়োজনে দিনরাত সমানে কাজ করছে প্রত্যাশার সদস্যরা। সাধারন মানুষের প্রত্যাশা মেটাতে খালেক নেতৃত্বে ভালো কাজ করছে প্রত্যাশা।