হাথরাসে দলিত মেয়েকে ধর্ষণ ও প্রতিনিয়ত নারীদের উপর নির্যাতন নিয়ে যোগী সরকার কে আক্রমণ রাহুল গাঁধীর

নতুন গতি ওয়েব ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের হাথরসে দলিত কন্যার গণধর্ষণ ও মৃত্য‍ু নিয়ে তোলপাড় হয়েছে দেশ। বিদেশেও প্রতিবাদ-বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেশের রাজনীতি সরগরম হয়ে উঠেছে নারী নির্যাতন ও দলিত নিগ্রহের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে। এই ঘটনার জন্য রবিবার সকালে উত্তরপ্রদেশের ম‍ুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে একহাত নিলেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধি।

     

     

     

    গত সপ্তাহে তিনি যখন নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে হাথরস গিয়েছিলেন, তাকে আটকে দিয়েছিল যোগীর পুলিশ। রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধিকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছিল পুলিশ, বলে অভিযোগ উঠেছে। পরবর্তীতে অবশ্য তারা সাক্ষাৎ করার অনুমতি পান। তবে এই দলিত নারী ধর্ষণ ও মৃত্য‍ুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে একগুচ্ছ প্রশ্ন উঠে আসছে সবার মনে।

     

     

     

    রবিবার সেগুলোকেই আরও একবার উসকে দিলেন রাহুল। তিনি এ দিন বলেন, এটা খ‍ুবই লজ্জাজনক সত্য যে বহু ভারতীয় দলিত, মুসলিম ও উপজাতিদের মানুষ বলেই গণ্য করে না। ম‍ুখ্যমন্ত্রী যোগী ও তার পুলিশ বারবার দাবি করছে কেউ নাকি ধর্ষিতা হয়নি তাদের কারণে এবং বহু ভারতীয় আবার এটাও বলেছেন যে সে আসলে ‘কেউই’ ছিল না। ট্য‍ুইটারে তিনি এভাবেই যোগীকে আক্রমণ করেন। আসলে এর সঙ্গে সঙ্গে তিনি আক্রমণ করেন দেশের নাগরিকদের একাংশের ব্রাহ্মণ্যবাদী মানসিকতাকেও।

     

     

     

    দলিত, মুসলিমদের মৃত্য‍ুর বহু মানুষের মনে কোনও দাগ কাটে না। লিঞ্চিংয়ের ফলে মোদি সরকারের আমলে বহু মুসলিমের মৃত্য‍ু হয়েছে। কিন্তু কেন্দ্রের তরফ থেকে এর প্রতিরোধে কোনও উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি এ পর্যন্ত। রাহুল এ দিন ট্য‍ুইটের সঙ্গে একটি নিউজ রিপোর্ট যুক্ত করে বলেন যে বারবার পুলিশ ধর্ষণের অভিযোগকে উড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। অর্থাৎ যোগী প্রশাসন বারবার এটাই বলতে চাইছে, একজন দলিতের ধর্ষণ ও খ‍ুন আদতে কোনও ঘটনাই নয়। মুসলিম এবং ট্রাইবালদের ক্ষেত্রেও এমনটা ঘটে বলে মনে করেন রাহুল গান্ধি।