|
---|
নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: লখিমপুর খেরিতে মৃত কৃষকদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করে গ্রেফতার হয়েছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধি৷ উত্তর প্রদেশ নির্বাচনের আগে এই ইস্যুতে যোগী আদিত্যনাথ সরকার এবং বিজেপি-কে আরও চাপে ফেলতে চাইছে কংগ্রেস৷ আগামিকাল, বুধবার লখিমপুর যাচ্ছেন রাহুল গান্ধি৷ তিনিও মৃত কৃষকদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করবেন বলে কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছে৷
রবিবার লখিমপুর খেরিতে চার কৃষক সহ ৯ জনের মৃত্যুর পরই ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধি৷ কিন্তু মাঝপথেই তাঁকে আটকায় পুলিশ৷ প্রিয়াঙ্কাকে প্রথমে আটক করে সীতাপুরের একটি অতিথিশালায় রাখা হয়৷ এ দিনই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ যদিও এখনও পর্যন্ত ওই অতিথিশালাতেই রাখা হয়েছে তাঁকে৷ প্রিয়াঙ্কা অভিযোগ করেছেন, গ্রেফতারির পর ৩৮ ঘণ্টা কেটে গেলেও এখনও পর্যন্ত তাঁকে এফআইআর-এর কপি দেখানো হয়নি৷ আইনজীবীর সঙ্গেও তাঁকে দেখা করতে দেওয়া হয়নি৷
বিবৃতি দিয়ে প্রিয়াঙ্কা আরও অভিযোগ করেছেন, তাঁকে এখনও পর্যন্ত কোনও ম্যাজিস্ট্রেট বা বিচার বিভাগীয় অফিসারের সামনে হাজির করানো হয়নি৷ অথচ এ দিন সকাল থেকে তাঁর আইনজীবী অতিথিশালার বাইরেই অপেক্ষা করছেন৷
পুলিশ প্রিয়াঙ্কা গান্ধিকে আটক করার পর থেকেই তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন রাহুল গান্ধি৷ ট্যুইটারে তিনি দাবি করেন, প্রিয়াঙ্কা ভয় পেয়ে পিছিয়ে আসবেন না৷ রাহুলের আরও দাবি, প্রিয়াঙ্কাকে ভয় পাচ্ছে উত্তর প্রদেশের বিজেপি সরকার৷
রবিবারের ঘটনার পর থেকেই লখিমপুর খেরিকে কার্যত দুর্গে পরিণত করেছে উত্তর প্রদেশ পুলিশ৷ বিরোধী পক্ষের কোনও নেতাকেই ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃত কৃষকদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না৷ এ দিন তৃণমূল সাংসদরাও দু’টি দলে ভাগ হয়ে কোনওক্রমে নিহত কৃষকদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন৷
ছত্তিসগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেলকেও এ দিন লখনউ বিমানবন্দরে আটকায় পুলিশ৷ ফলে রাহুল গান্ধি লখিমপুর খেরিতে যাওয়ার চেষ্টা করলেও তাঁর অনুমতি না পাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি৷ ফলে ফের একবার উত্তর প্রদেশের পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে সংঘাতে জড়াতে পারেন রাহুল এবং কংগ্রেস সমর্থকরা৷