হাওড়া–বর্ধমান রুটে বিশেষ কিছু ট্রেন চালানোর ব্যবস্থা করল রেল কর্তৃপক্ষ

নিজস্ব সংবাদদাতা: ট্রেন মিলছে না। দেরি করে আসছে। পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই। এই সব অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেথিয়েছিলেন নিত্যযাত্রীরা। খন্যান স্টেশন থেকে শুরু করে বর্ধমানের একাধিক স্টেশনে বিক্ষোভ আছড়ে পড়েছিল। আর তার জেরে হাওড়া–বর্ধমান রুটে বিশেষ কিছু ট্রেন চালানোর ব্যবস্থা করল রেল। আজ, বুধবার ৭ সেপ্টেম্বর থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রত্যেকদিন এই রুটে চলবে বিশেষ ট্রেনগুলি। প্রত্যেকটি হল্ট স্টেশনেও দাঁড়াবে এই ট্রেনগুলি। ফলে যাত্রীদের সমস্যার সমাধান হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

    বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে?‌ ইন্টারলকিংয়ের কাজ চলছে। তাই হাওড়া–বর্ধমান লাইনে বাতিল হয়েছিল একাধিক ট্রেন। তাতে নাকাল হতে হয় নিত্যযাত্রীদের। তার জেরে বিক্ষোভ দেখা যায় হুগলির একাধিক স্টেশনে। ট্রেন পরিষেবা ব্যাহত হয়ে পড়ে। তারপরই বিশেষ ট্রেন চালানোর ঘোষণা করল রেল। মেন লাইনে হাওড়া থেকে প্রথম ট্রেনটি ছাড়বে সকাল ৪টে ১৫ মিনিটে। তার পরের ট্রেনগুলি হাওড়া থেকে ছাড়বে যথাক্রমে ৫টা ২৭, ৬টা ৫৮. ১০টা ০৫, ১১টা ২৫. দুপুর ২টো ২০, ২টো ৫৫, ৩টে ৩০, বিকেল ৫টা ৫ এবং রাত ৮টা ২০ মিনিটে।মেমারি স্টেশন পর্যন্ত চলবে ট্রেনগুলি। আবার মেমারি স্টেশন থেকে হাওড়ার দিকে প্রথম ট্রেন রওনা দেবে সকাল ৬টা ১০ মিনিটে। তারপর যথাক্রমে ৭টা ১৫, ৮টা ৫০, দুপুর ১২টা, ১টা ২০, বিকেল ৪টে ২০, ৪টে ৫০, ৫টা ২০. সন্ধ্যে সাড়ে ৭টা এবং রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে।

    কর্ড লাইনে কেমন সময়ে চলবে ট্রেন?‌ রেল সূত্রে খবর, কর্ড লাইনে হাওড়া থেকে মশাগ্রামে প্রথম ট্রেনটি রওনা দেবে ভোর ৪টের সময়। পরের ট্রেনগুলি ছাড়বে ৪টে ৫৫, ৭টা ৭ মিনিট, ১০টা ১৫ মিনিট, ১১টা ২২ মিনিট, দুপুর ১২টা ০৫ মিনিট, ১টা ৩২ মিনিটে। উল্টোদিক থেকে সন্ধ্যে ৬টা ০৫, ৬টা ৩০ মিনিট, ৬টা ৫৭ এবং ৮টা ২০ মিনিটে ট্রেন ছাড়বে। এই রুটে মশাগ্রাম থেকে হাওড়া আসার প্রথম ট্রেনটি ছাড়বে সকাল ৫টা ৪০ মিনিটে। পরের ট্রেনগুলি ছাড়বে ৬টা ৩৫ মিনিট, ৮টা ৫০ মিনিট, ১১টা ৫৫, দুপুর ১টা ২০ মিনিট, ১টা ৪৫ মিনিট, ৩টে ২০। আর ট্রেন ছাড়বে সন্ধ্যে ৭টা ৫৫ মিনিটে। পরের ট্রেনগুলি ছাড়বে ৮টা ২০, ৮টা ৪০ এবং ১০টা ০৫ মিনিটে।

    আর কী জানা যাচ্ছে?‌ ট্রেন বাতিল নিয়ে যাত্রী ক্ষোভ এমন মাত্রায় যেতে পারে তা ভাবতে পারেনি রেল কর্তৃপক্ষ। ইন্টারলকিং সিস্টেমের কাজের জেরে হাওড়া–বর্ধমান মেন লাইনে বেশ কিছু ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। আর তা নিয়েই সমস্যা তৈরি হয়। রেলের বিজ্ঞপ্তি দেখেই খেপে উঠেছিলেন যাত্রীরা। অফিস টাইমে ট্রেন না পাওয়ায় সেই ক্ষোভ আছড়ে পড়ে একাধিক স্টেশনে। যদিও এই মেরামতির কাজ সেপ্টেম্বর মাসের শেষ পর্যন্ত চলবে। ট্রেন বাতিলের খবরে সোমবার এবং মঙ্গলবার পরপর রেল অবরোধ করা হয়। তারপরই বিশেষ ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিল রেল।