|
---|
দেবজিৎ মুখার্জি: অনুচ্ছেদ ১৪২ প্রয়োগ করে বুধবার রাজীব গান্ধী হত্যা মামলায় দোষী সাব্যস্ত এজি পেরারিভালনকে মুক্ত করল শীর্ষ আদালত।
উল্লেখ্য, রাজীব গান্ধীর হত্যার সময় তাঁর বয়স ছিল ১৯। জঙ্গি সংগঠন লিবারেশন টাইগারস অফ তামিল ইলামের সদস্য তথা অন্যতম চক্রী শ্রীবাসনের জন্য দু’টি ৯ ভোল্টের ব্যাটারি কেনার অভিযোগ উঠেছিল পেরারিভালনের বিরুদ্ধে। সেই ব্যাটারিই বিস্ফোরণ ঘটানোর কাজে ব্যবহৃত হয়েছিল। পেরারিভালনের গ্রেপ্তারির পর ১৯৯৮ সালে সন্ত্রাস দমন আদালত তাকে মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি দিয়েছিল। ১৯৯৯ সালে সেই সাজাই বহাল রাখে শীর্ষ আদালত। তবে ২০১৪ সালে তা বদলে যাবজ্জীবন করা হয়। চলতি বছর মার্চে জামিন মঞ্জুর করা হয়। এরপরই নির্ধারিত সময়ের আগে মুক্তির আবেদন জানায় পেরারিভালন। যে আবেদনের বিরোধিতা করে কেন্দ্র।
কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছিল, বিষয়টি রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের উপর ছাড়েন তামিলনাড়ুর রাজ্যপাল। কিন্তু এ ব্যাপারে অনেকটা সময় কেটে গেলেও কোনও সিদ্ধান্ত নেননি রাষ্ট্রপতি। এ নিয়ে প্রশ্ন তোলে শীর্ষ আদালত। জানানো হয়, তামিলনাড়ু সরকার চায় রাজীব গান্ধী হত্যা মামলায় দোষীসাব্যস্ত সাত জনকেই ১৬১ ধারায় ক্ষমা করা হোক। তাই রাজ্যপাল রাজ্যের মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত মেনে নিতে বাধ্য। ফলে রাষ্ট্রপতির মতামতের জন্য অপেক্ষা করা অপ্রয়োজনীয়। এরপরই এদিন পেরারিভালনকে জেলমুক্তির নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট।