|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা : কবি নজরুল বহু দিন আগেই বলে গেছেন, “বিশ্বে যা কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যাণকর, অর্ধেক তার করিয়াছে নারী অর্ধেক তার নর।” এ কথারই যথার্থতা প্রমাণ করল মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর থানার অন্তর্গত চাঁদপুর চিলড্রেন্স অ্যাকাডেমীর নাসিমা খাতুন। সে ২০২৪ সালের হাই মাদ্রাসা বোর্ডের মাধ্যমিক পরীক্ষায় গোটা রাজ্যে ৭৬৮ (৯৬%) নম্বর পেয়ে সপ্তম স্থান অধিকার করেছে । চাঁদপুর চিলড্রেন্স অ্যাকাডেমী ১৯৯৫ সালে মালদা জেলার এক পিছিয়ে পড়া (বলা ভালো পিছিয়ে রাখা) গ্রামে পথ চলা শুরু করলেও ২০০৯ সালে প্রথমবারের মত মাত্র ৬ জন পরীক্ষার্থী নিয়ে মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশ নেই। ফলও হয় আশানুরূপ। তারপর থেকে আজ পর্যন্ত ১৬টি ব্যাচ অ্যাকাডেমীর সাফল্যের ধারা যথারীতি বজায় রেখেছে। আজকাল তুলনামূলকভাবে মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের শহরমূখী হতে দেখা যায়, অথচ সঠিক গাইডেন্স, উপযুক্ত পরিবেশ ও অধ্যবসায় থাকলে গ্রামের নির্মল মুক্ত পরিবেশে থেকেও যে বিশ্বজয় করা যায় তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ নাসিমার এই চমকপ্রদ সাফল্য। নাসিমা ছাড়াও হাই স্কুল থেকে অসাধারণ রেজাল্ট করেছে অ্যাকাডেমীর ফাহিমুল মুসলিহ। সে ৬৫৮ (৯৪%) নম্বর পেয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকায় প্রথম স্থান অধিকার করেছে। এ বছর হাই স্কুল ও হাই মাদ্রাসা মিলিয়ে মোট ৩৭ জন ছাত্র-ছাত্রী মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। প্রত্যেকেই উত্তীর্ণ হয়েছে। তারা যথাক্রমে ইসলামপুর সাগর হাই মাদ্রাসা (উ: মা:) ও মিটনা হাই স্কুল (উঃ মা:) মারফত মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছে। তাদের এই সাফল্যে অ্যাকাডেমীর শিক্ষক-শিক্ষিকা, অশিক্ষক কর্মী, বর্তমান ছাত্রী-ছাত্রী, প্রাক্তন ও বর্তমান অভিভাবক-অভিভাবিকাবৃন্দসহ স্থানীয় মানুষজন যেমন খুশি হয়েছেন তেমনি সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাকাডেমীর প্রাক্তনীদের মধ্যেও উচ্ছাস লক্ষ্য করা গেছে। সিসিএ-র পরিচালন সমিতির সদস্যগণ ইতিমধ্যে নাসিমা ও ফাহিমুলসহ অন্যান্য কৃতী পরীক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও অ্যাকাডেমীর নিজস্ব স্কলারশিপ প্রোগ্রাম “হজরত আবু বকর (রা:) স্কলারশিপ” বিতরণের প্রস্তুতি শুরু করেছেন। এই বছর ঈদ উল আজহার এক-দুই দিন পরে পুনর্মিলন ও সংবর্ধনা সভা অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে অ্যাকাডেমী সূত্রে জানা যাচ্ছে।