|
---|
লুতুব আলি, বর্ধমান, ৩ সেপ্টেম্বর : রাজ্যের চারজন মন্ত্রী উপস্থিত হয়ে সিপিএমের তাণ্ডবের প্রতিবাদ জানালেন বর্ধমানে। অভিযোগ, ৩১ আগস্ট গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নাম করে সিপিআইএম কর্মী সমর্থক জেলা ও রাজ্য নেতৃত্বরা বর্ধমান শহরের প্রাণকেন্দ্র কার্জন গেট ও কোর্ট চত্বরে তাণ্ডব লীলা চালিয়েছিল। এরই প্রতিবাদে ৩ সেপ্টেম্বর এক বিরাট প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেছিল পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেস। এ দিনের প্রতিবাদ সভায় রাজ্যের চারজন মন্ত্রী শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়, প্রদীপ মজুমদার, স্বপন দেবনাথ ও সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী এই প্রতিবাদ সভায় নেতৃত্ব দেন। প্রতিবাদ সভায় সভাপতিত্ব করেন কাটোয়ার বিধায়ক তথা পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। অভিযোগ উঠেছিল, সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক মোঃ সেলিমের নেতৃত্বে ৩১ আগস্ট বর্ধমান কার্জন গেট ও জেলা প্রশাসনের সামনে সিপিআইএম তাণ্ডব লীলা চালিয়েছিল। আর ও অভিযোগ, সেদিন সিপিআইএম কর্মী সমর্থকেরা পুলিশ কর্মী ও সিভিক পুলিশদের ধরে ধরে মেরেছিল। কার্জন গেট চত্বরে বিশ্ববাংলার লোগো ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়েছিল, মমতা ব্যানার্জির ফ্লেক্স, তৃণমূল সরকারের উন্নয়নের ১১ বছরের ইস্তেহারের যাবতীয় ফেস্টুন ও সজ্জা তারা ছিঁড়ে ফেলে। এবং তাদের বিরুদ্ধে সরকারি সম্পত্তি নষ্টের ও অভিযোগ উঠেছিল। বর্ধমান জেলা পুলিশ সিসিটিভি ফুটে জ ও ইলেকট্রনিক্স সংবাদের ফুটেজ দেখে দেখে প্রায় ৩০০ জনকে পরে গ্রেফতার করে। বর্ধমানের এদিনের প্রতিবাদ সভায় প্রায় ৫০ হাজার মানুষ জমায়েত হয়েছিল। সমাবেশে শোভন দেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের বাহার দেখে সিপিএম আর সহ্য করতে পারছে না। তারা ৩৪ বছর রাজ্যটিকে ধ্বংস করে আবার ধ্বংসাত্মক হিংসা লীলা ছড়াতে চাইছে। স্বপন দেবনাথ বলেন, মমতা দি বদলা নয় বদল চেয়েছিলেন তাই সিপিএম হত্যা লীলা হিংসা লীলা চালিয়েও রেহাই পেয়ে যাচ্ছে। রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, মোহাম্মদ সেলিম যেখানেই যাচ্ছেন গন্ডগোল পাকাচ্ছেন। বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস বলেন, অত্যাচারী সিপিআইএমকে বর্ধমান থেকে উৎখাত করতে পাঁচ মিনিট সময় লাগবে না তৃণমূল কংগ্রেসের। রাজ্য নেতৃত্বের পরামর্শ অনুযায়ী তারা সে পথে না হেঁটে শান্তিপূর্ণভাবে বর্ধমানে তার প্রতিবাদ জানানো হচ্ছে। প্রতিবাদ সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার, সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী, পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি তথা রায়নার বিধায়ক শম্পা ধারা, সহ-সভাপতি দেবু টুডু, বর্ধমান উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান কাকলি তা। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শেখ আজিজুল হক, পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ বাগবুল ইসলাম, মোহাম্মদ ইসমাইল সহ জেলার বিভিন্ন ব্লক থেকে আসা তৃণমূল নেতৃত্ব ও জেলা নেতৃত্ব ছাড়াও বর্ধমান পৌরসভার কাউন্সিলার বৃন্দ।