খালি গলায় কুমার শানুর গান গেয়ে ভাইরাল রাজনগরের রাজু

 

     

     

    খান আরশাদ, বীরভূম:

    খালি গলায় কুমার শানুর গান গেয়ে ভাইরাল রাজনগরের এক প্রত্যন্ত গ্রামের যুবক রাজু।
    ৯০ এর দশকে যখন বলিউডের প্রখ্যাত গায়ক কুমার শানু একের পর এক হিট গান উপহার দিয়ে চলেছেন, তখন তাঁর অগণিত শ্রোতার পাশাপাশি রাজনগরের এক প্রত্যন্ত গ্রামের যুবকও তার গান শুনে বিভোর। সব সময় গেয়ে চলে কুমার শানুর গান। রাস্তাঘাটে উৎসব অনুষ্ঠানে যেখানেই কুমার শানুর গান বেজে ওঠে, সেখানেই এসে দাঁড়িয়ে শুনতে থাকে আর গাইতেও থাকে সেই গান। বীরভূমের রাজনগর ব্লকের টাবাডুমরা গ্রামের একবারে হতদরিদ্র পরিবারের যুবক রাজু কর্মকারের কন্ঠে যখন পাড়া-প্রতিবেশীরা কুমার শানুর গান শোনে, সঙ্গে সঙ্গে তারা অবাক হয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে তার গান শোনার জন্য। কুমার শানুকে ধ্যান-জ্ঞান করে গানের কোনো শিক্ষক ছাড়াই প্রায় প্রতিদিনই নিয়মিত রেওয়াজ চালিয়ে যায় রাজু। হ্যাঁ, কোন শিক্ষক ছাড়াই । কারণ কোনো শিক্ষকের কাছে গানের তালিম নেওয়ারও খরচা যে নেই তার পকেটে।
    বীরভূমের সীমান্তবর্তী অঞ্চল রাজনগরের এক প্রত্যন্ত গ্রাম টাবাডুমরা গ্রামের রাজু কর্মকারকে এলাকার লোক রাজনগরের কুমার শানু নামে চেনে।
    কোন বাদ্যযন্ত্র ছাড়াই খালি গলায় কুমার শানুর গান যখন রাজু গায় সকলেই মুগ্ধ হয়ে তার গান শোনে।
    চোখ বন্ধ করে রাজুর গান শুনলে মনে হয় যেন কুমার শানুই গাইছেন।
    হতদরিদ্র রাজু পেটের টানে পাড়ি দেয় ভিন রাজ্যে। সেখানে একটি নার্সারিতে তার কাজ জোটে ।
    সারাদিন কুমার শানুর গান গাইতে গাইতেই নিজের কাজ সারে রাজু।
    তার গানের কথা ছড়িয়ে পড়তে থাকে ধীরে ধীরে।
    গ্রামের বাড়িতে রাজু ফিরে এলে গ্রামের লোকজনও রাজুর সুমধুর কন্ঠে গান শোনার অধীর আগ্রহ নিয়ে তার বাড়িতে পৌঁছে যায়।
    রাজনগরের কুমার শানু হিসেবেই এখন সে সবার কাছে পরিচিত।

    হতদরিদ্র বাবা-মা ও গ্রামবাসীদের সকলের মুখে একই কথা রাজুর আরো নাম ডাক হোক, যা শুধু গ্রামের নয়, রাজনগর নয়, পুরো জেলা বাসীর নাম উজ্জ্বল করবে রাজু।

    রাজু নিজেও আশাবাদী গায়ক হিসেবে সে একদিন সফল হবেই। বিভিন্ন উৎসব অনুষ্ঠানে সেও একজন জনপ্রিয় শিল্পী হিসেবে গান গাইবে। সেই আশায় দিন গুনছে দিনমজুর এই ভাইরাল গায়ক।