যথাযথ মর্যাদায় বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অনুসরণে রাখী বন্ধন

হাসান লস্কর বাবলু : বঙ্গভঙ্গকে প্রতিরোধ করার জন্য ১৯০৫ সালে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রাখী বন্ধন উৎসব পালন করেছিলেন।কলকাতা, বাংলাদেশের ঢাকা ও সিলেট থেকে হাজার হাজার হিন্দু- মুসলিম ভাই বোন একত্রিত হয়ে সম্প্রীতির প্রতীক হিসাবে  সেই মুহূর্তে রাখী বন্ধন উৎসব পালন করেছিলেন। তখন ভারতবর্ষে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা চরম পর্যায়ে ছিল।মুলত পূর্ণিমার দিনে রাখি বন্ধন পালিত হয় ,হিন্দু শাস্ত্রমতে মনের কারক গ্রহ। এদিনে চন্দ্রের পুজো করলে মন শান্ত হয় এবং মানসিক শান্তি পাওয়া যায়। আজকের দিনে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি বিধানসভায় ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে চলছে রাখি বন্ধন উৎসব। যেখানে জাতি-ধর্ম-বর্ণ বড়ো কিংবা ছোট্ট সকলে মিলে মিশে রাখী বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন । বিশেষত এখানে সর্বধর্ম সমন্বয়ে একে অপরের রাখি বেঁধে দিচ্ছেন,ভাই বোনকে বোন ভাইকে রাখী বেঁধে দিচ্ছেন তার সাথে সাথে বয়সের বাঁধ মানছে না আজকের এই রাখি বন্ধন উৎসবে। তেমনি চিত্র দেখা গেল কুলতলী বিধানসভার জালাবেরিয়া, জামতলা বাজার, গোপালগঞ্জ পঞ্চায়েত বাজার,সহ একাধিক এলাকায় যেখানে কুলতলি বিধানসভার বিধায়ক গনেশ চন্দ্র মন্ডলের উদ্যোগে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা পথ -চলতি মানুষদের বিধায়কের সাথে রাখি বাঁধছেন। অপরদিকে প্রশাসনের আধিকারিকদের দেখা মিলছে একে অপরকে রাখি বাঁধতে। পিছিয়ে নেই স্বাস্থ্যকর্মীরা তারা ও আজ এই মুহূর্তে সামিল। আজকের এই সময়ে করোনার গ্রাসে মানুষের আনন্দ-বিনোদন চলে গেলেও আবার নূতন করে আজকের রাখি বন্ধনের দিনে ভাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ ,সাথে সাথে আজকের মহামিলনে ঈশ্বর সকলকে সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু দান করুন এমনি প্রার্থনা ।