রক্তদান সাগরদিঘী উইনার ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের

সংবাদদাতা : রাজ্যে এখন চলছে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা আর অসুস্থতার কারণে হাসপাতালের মধ্যেই পরীক্ষা দিতে হলো সাহাপুর সাঁওতাল উচ্চ বিদ্যালয়ের এক ছাত্রী পায়েল মাহারাকে । রক্তাল্পতার কারণে অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে সাগরদিঘী সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় গতকাল এবং এক ইউনিট রক্তও দেওয়া হয়। তবে আজকে সন্ধে বেলায় হটাৎই শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ থেকে সন্ধে বেলায় জানানো হয় শীঘ্রই তার আরো এক ইউনিট রক্তের প্রয়োজন। কোনোকিছু বুঝতে না পেরে পরিবারের সদস্যরা রক্তের জন্য সাগরদিঘী উইনার ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট এর অন্যতম রক্ত যোদ্ধা জাহাঙ্গীর শেখের সঙ্গে যোগাযোগ করেন, এরপরই তড়িঘড়ি ট্রাস্টের সম্পাদক সঞ্জীব দাস এবং উইনার রক্ত সেবার সদস্য সাবিরুল সেখের তৎপরতায় রক্তদানে এগিয়ে আসেন জোতকমল গ্রামের নূরজামাল সেখ। তবে সাগরদিঘী ব্লাড ব্যাংক বন্ধ থাকায় রক্তদাতাকে নিয়ে জঙ্গিপুর ব্লাড ব্যাংকে যান সাবিরুল সেখ, সেখানে রাত্রি ১০:৪৫ নাগাদ রক্তদান করিয়ে সেই রক্ত সংগ্রহ করে আবার সাগরদীঘি হাসপাতালে নিয়ে আসেন তারা, পরে সেই রক্ত রোগীর উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়।

    ট্রাস্টের সম্পাদক সঞ্জীব দাস এই বিপদের সময়ে এক ডাকে এগিয়ে আসার জন্য রক্তদাতা নূরজামাল শেখ কে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই ও উইনার রক্ত সেবার সদস্য সাবিরুল সেখ এত তৎপরতার সাথে কাজটি সম্পন্ন করায় তিনি খুব গর্ব বোধ করেন। এছাড়াও আক্ষেপের সাথে তিনি একথা বলেন যে সাগরদিঘী হাসপাতালে ব্লাড ব্যাংক থাকা সত্ত্বেও বহুবারই তাদের এরকম অসুবিধের মধ্যে পড়তে হয়েছে এবং রাত্রিবেলায় রক্তদাতাদের নিয়ে জঙ্গিপুর দৌড়াদৌড়ি করতে হয়েছে। আমাদের সংবাদমাধ্যমের মধ্যে দিয়ে তিনি সাগরদিঘী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে এ ব্যাপারটা নিয়ে একটু ভাবনা-চিন্তার জন্য আবেদন জানিয়েছেন, যদি সাগরদীঘি ব্লাড ব্যাঙ্ককেও ২৪*৭ পরিষেবা দেওয়া যায় তাহলে মানুষের উপকার হবে।