|
---|
স্টাফ রিপোর্টার : পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোল লোকসভার খনি-শিল্পাঞ্চলের প্রাচীন শহর রানিগঞ্জে ফিটনেস একাডেমীর উদ্বোধন হল । উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সমাজসেবী কাজী মোশারফ হোসেন, মিহির কুমার পাল, ইসিএল আধিকারিক সঞ্জয় ভৌমিক, সন্দীপ ভলোটিয়া প্রমুখ। দুঃস্থ যুবক যুবতীদের ভবিষ্যতের পথ দেখাতে বিশেষত মহিলাদের স্বশক্তিকরণে মিক্স মার্শাল আর্ট ফিটনেস একাডেমী জিম, কিক বক্সিং, ক্যারাটে প্রশিক্ষণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। একাডেমীর প্রশিক্ষক মনসুর আলম ও আমজাদ হোসেন জানান, অস্থায়ী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকেই বেশ কিছু কৃতি শিক্ষার্থী রাজ্য ও জাতীয় স্তরে পদক লাভ করেছে। তাঁরা দাবি করেন, দুঃস্থ শিক্ষানবিসদের নিকট হতে কোনও পারিশ্রমিক নেওয়া হয় না ।
উল্লেখ্য, রানিগঞ্জের খনি-শিল্পাঞ্চলে ভারতবর্ষের বহু রাজ্যের মানুষ বাস করেন। মিশ্র সংস্কৃতির কারণে এলাকায় অপরাধ প্রবণতা অনেক বেশি। বিশেষ করে মহিলাদের নিরাপত্তার ব্যাপারে সজাগ থাকতে হয় প্রশাসনকে। তার প্রসঙ্গ টেনে অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট সমাজসেবী মিহির কুমার পাল বলেন, এই ধরনের একটা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের খুবই দরকার ছিল। তিনি বলেন, এই প্লাটফর্ম ব্যবহার করে সমাজের সর্বস্তরের যুবা তাঁদের প্রতিভা উন্মোচনের সুযোগ পাবেন। কাজোরা এরিয়ার পার্সোনেল ম্যানেজার (Personnel Manager) সঞ্জয় ভৌমিক বলেন, সুস্থ ও সমাজ গঠনের জন্য এমন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রয়োজন আছে। আশা করি, মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে এই একাডেমী কাজ করে যাবে। বিশিষ্ট সমাজসেবী সন্দীপ ভলোটিয়া এমন উদ্যোগ গ্রহণের জন্য কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, যুব সমাজের জন্য এটা একটা উপযোগী উদ্যোগ। বক্তব্যে বিশিষ্ট সমাজসেবী কাজী মোশারফ হোসেন বলেন, নারী – পুরুষ নিয়েই আমাদের সমাজ। তিনি বলেন, অর্ধেক অংশ যদি কাজ করে আর অর্ধেক অংশ যদি পিছিয়ে থাকে তাহলে সমাজের বিকাশ-প্রকাশ ঘটতে পারে না। তাঁর মতে, নারীদেরকেও পিছিয়ে থাকলে চলবে না। তাঁদেরও স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। এবং নিজের নিরাপত্তা নিজেকেই করতে হবে। তাঁর বক্তব্য, সেই নিরিখে এই ধরনের প্রতিষ্ঠানের বিশেষভাবে প্রয়োজন আছে । ট্রেনিদের মধ্য দেখা গেল বিভিন্ন সম্প্রদায়ের যুব শ্রেণির উপস্থিতি । সম্প্রীতির দৃঢ় বন্ধনে যাঁরা আবদ্ধ। এখানে কোনও ভেদাভেদ নেই। নেই বর্ণ, সম্প্রদায়, ধর্ম, জাতি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেও দেখা গেল তারই প্রতিচ্ছবি। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন মিক্স মার্শাল আর্ট ফিটনেস একাডেমীর প্রশিক্ষক মনসুর আলম।