সুজাপুরের কৃতি ছাত্রী সাদিয়া সিদ্দিকা কে সংবর্ধনা, শিক্ষারত্ন প্রাপ্ত শিক্ষিকা তানিয়া রাহামাতের

সুজাপুরের কৃতি ছাত্রী সাদিয়া সিদ্দিকা কে সংবর্ধনা, শিক্ষারত্ন প্রাপ্ত শিক্ষিকা তানিয়া রাহামাতের

    নাজমুস সাহাদাত, কালিয়াচক: পশ্চিমবঙ্গ মাদ্রাসা বোর্ডে সাদিয়া সিদ্দিকা সম্ভবত রাজ্যের সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে নজর কেড়েছে এই ছাত্রী। মালদার কালিয়াচকের সুজাপুর এলাকায় তার বাড়ি। তার পিতাও একজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। তিনিও ১৯৯০ সালে মাধ্যমিকে স্থান লাভ করেছিলেন। এই বছর হাই মাদ্রাসা পরিক্ষায় ৭৯৭ নম্বর পেয়েছে সাদিয়া সিদ্দিকা । সে নয়মৌজা সুভহানিয়া হাই মাদ্রাসার ছাত্রী। তার বাবা শিক্ষক রুহুল ইসলাম, তাঁর দুই ছেলে মেয়ের মধ্যে সাদিয়ায় বড়। সাদিয়া বাংলাতে ১০০, ইংরেজি ৯৯, অঙ্কে ১০০, ভৌত বিজ্ঞানে ১০০, জীবন বিজ্ঞান ১০০, ভুগোল ৯৯, ইতিহাস ৯৯, ইসলাম পরিচয়ে ১০০। সাদিয়া বড় হয়ে চিকিৎসক হতে চাই । সাদিয়া জানায় যে, ছোট থেকেই বাবার কাছেই পড়াশোনা করেছে। সাদিয়ার সাফল্যে আপ্লুত এলাকাবাসী সহ সারা রাজ্য ।

    এদিন তাকে সংবর্ধনা জানাতে তার বাড়িতে হাজির হলেন কালিয়াচকের শিক্ষারত্ন প্রাপ্ত শিক্ষিকা তানিয়া রাহামাত , ডঃ হাজেরুল ইবকার, শিক্ষক সাইফুল আলম ও শিক্ষক সারিফুল মন্ডল।
    তাকে ফুলের তোরা, মিস্টি সহ সামগ্রি দিয়ে সংবর্ধনা জ্ঞাপন করা হয়।

    শিক্ষিকা তানিয়া রাহামাত বলেন ,
    এ সমাজ আমাদের। এই সমাজের উন্নয়নের দায়িত্বও কিন্তু আমাদের উভয়েরই। নারী বা পুরুষ কেউই একক ভাবে সমাজ গঠন করতে পারে না। উভয়ের ভুমিকা সমান গুরুত্বপূর্ণ। তাই নারী হিসাবে সমাজ গঠনে এক দায়বদ্ধতার টানে আমাদের মালদা তথা বাংলার গর্বের এক কন্যা সাদিয়া সিদ্দিকার সঙ্গে সাক্ষাতে সুজাপুরে তার বাড়িতে । সাদিয়া সিদ্দিকা এই বছর মাধ্যমিকে রাজ্য হাই মাদ্রাসা বোর্ডে 797 নম্বর পেয়ে সম্ভাব্য প্রথম স্থান অধিকার করেছে। তার এই অভাবনীয় সাফল্যেকে শুভেচ্ছা, অভিনন্দন , ভালোবাসা ও অনন্য সম্মান জানায়। সাদিয়া আমাদের গর্বের কন্যা। মালদা বাসী হিসাবে আমরা গর্বিত। সাদিয়ার সঙ্গে কথোপকথনে তার আত্ম বিশ্বাসে আমি মুগ্দ্ধ, আনন্দিত ও সর্বোপরি গর্বিত। তোমার এই আত্ম বিশ্বাস অটুট রেখে তুমি এগিয়ে চলো।আমরা তোমার সঙ্গে আছি সাদিয়া।