|
---|
মালদাঃ- জলে ডুবেছে কল ও ট্যাপ। রাস্তায় জল জমে করছে থই থই। বাড়ি ও মসজিদে ঢুকছে পঁচা ও নোংরা জল।ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। বাড়ছে মশামাছির উপদ্রোবও।পঞ্চায়েত ও ব্লক প্রশাসনকে বারবার অভিযোগ জানিয়েও হচ্ছে না কোনো সমস্যার সমাধান।দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে এই সমস্যায় ভুক্তভোগী হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের তুলসীহাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের তুলসীহাটা নয়াটোল এলাকার বাসিন্দারা।কবে হবে জল নিকাশির ব্যবস্তা তার অপেক্ষায় এলাকাবাসী। প্রায় তিন শো মিটার পাঁকা রাস্তা জলের তলায়। বর্ষা শুরু হতেই ভোগান্তি বেড়েছে নিত্য যাত্রী ও গাড়ি চালক থেকে শুরু করে এলাকাবাসীদের। বয়স্ক মহিলা ও পুরুষেরা হাটু জলে একাই চলতে হোঁচট খাচ্ছে।
জানা গেছে এই রাস্তা দিয়ে প্রায় দুই থেকে তিন হাজার লোক দৈনিক যাতাযাত করে।এই রাস্তা ধরে যেতে হয় তুলসীহাটা দৈনিক বাজার,তুলসীহাটা গ্রাম পঞ্চায়েত,স্কুল,ব্যাংক ও রেশন দোকানে।জল বাড়তেই গাড়ি উল্টে ঘটছে দুর্ঘটনা।সবকিছু জেনেও রাজনৈতিক নেতারা চুপ রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা জর্জিস আলি(৮৫) জানান দীর্ঘ পনেরো বছর ধরে এই সমস্যায় ভুক্তভোগী এলাকাবাসী। পঞ্চায়েত প্রধান ও জেলা পরিষদের সদস্যকে জানিয়েও হচ্ছে না কোনো সমাধান।তার বয়স এখন ৮৫ বছর।একায় এক হাঁটু জল ভেঙে পাশের মসজিদে নামাজ পড়তে যেতে পারে না। অন্যের সাহারার তাকে পারাপার করতে হয়। এমনকি পঁচা ও নোংরা জল মসজিদে ঢুকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।
আরো এক স্থানীয় বাসিন্দা তহমিনা বিবি জানান বর্ষা শুরু হতেই তাদেরকে চরম সমস্যায় পড়তে হয়। রাস্তায় জল ছাড়া স্থল দেখতে পাইনা। তাদেরকে হাঁটু জলে ডুবে মরতে হয়। তাদেরকে নিয়ে কেও ভাবে না।ভোট শেষ হতেই নেতাদের আর গ্রামে দেখা যায় না।
তুলসীহাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধান আব্বাস আলী জানান এলাকাবাসীর কাছ থেকে অভিযোগ পেয়েছি। এলাকায় গিয়ে পরিদর্শনও করে এসেছি। আপাতত এখন পঞ্চায়েত থেকে পাম্প সেট লাগিয়ে জল বার করার কাজ চলছে।জল নিকাশের জন্য হাই ড্রেনের প্রয়োজন। ড্রেন নির্মাণের জন্য যথেষ্ট টাকার প্রয়োজন,যা পঞ্চায়েত থেকে করা সম্ভব না। জেলা পরিষদের সদস্য চৌধুরীকে জানিয়েছি। আশা করি শিঘ্রই জল নিকাশি ড্রেনের ব্যবস্থা হয়ে যাবে।
জেলা পরিষদের সদস্য সন্তোষ চৌধুরী জানান বছর দুয়েক আগে জেলা পরিষদ থেকে ৩০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে রাস্তাটি পাঁকা করা হয়েছে।জল নিকাশের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় জল জমে সমস্যা হচ্ছে।জল নিকাশি হাইড্রেনের জন্য জেলা পরিষদকে জানানো হয়েছে।প্রায় ১০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছে। দুই মাসের মধ্যেই ড্রেনের কাজ শুরু হয়ে যাবে বলে জানান।