গজলডোবা তিস্তা ব্যারেজ এলাকায় নদীর উজানে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা, জারী করল বনদপ্তর

নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: গজলডোবা তিস্তা ব্যারেজ এলাকায় নদীর উজানে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা,জারী করল বনদপ্তর। বৈকন্ঠপুর বন বিভাগের বেলাকোবা রেঞ্জের তরফ থেকে গজলডোবা তিস্তা,ব্যারেজ সংলগ্ন এলাকায় মাইকিং এর মাধ্যমে ব্যারেজ এলাকা ও আশেপাশের এলাকায় তিস্তা নদীর উজানে ছিপ ও জাল নিয়ে মাছ ধরার উপর এই নিষেধজ্ঞা করা হয়।রেঞ্জ অফিসার সঞ্জয় দত্ত সমগ্র এলাকায় মাইকিং করে সবাইকে সতর্ক করে জানান যে উজানে মাছ ধরলে পরিযায়ী পাখির বিপদ হতে পারে।ছিপ ও বরশি দিয়ে মাছ ধরলে পাখির আঘাত ও মৃত্যুও হতে পারে। এই ভাবে মাছ ধরতে গিয়ে পাখি মারা গেলে বা আহত হলে অপরাধীর এবং মাছ ধরা ব্যাক্তির ভারতীয় বন্য প্রানী আইন অনুযায়ী সাত বছর কারাদন্ড ও জরিমানা হবে।সুতরাং প্রত্যেক মানুষ যারা,মাছ ধরেন তারা,এখন থেকে সতর্ক হয়ে যান। সচেতন নাগরিকদের কাছে অনুরোধ করা হয় কাওকে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ ধরতে দেখলে তাকে নিষেধ করুন। গজলডোবায় সমস্ত তিস্তা ব্যারেজ এলাকা ইতিমধ্যে পাখীর অভয়ারন্য বলে ঘোষিত হয়েছে। মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা এই পরিপ্রেক্ষিতে করা হয়েছে।

    গজলডোবা তিস্তা ব্যারেজে প্রতি বছর পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রচুর পরিযায়ী পাখি আসে।বিশেষ করে শীতপ্রধান দেশ,থেকে। আমাদের অজানা অনেক পাখী আসতে শুরু করে নভেম্বর মাস থেকে।আর এই অজানা ও দৃষ্টিমুগ্ধকারী পাখিদের আগমনে এলাকা হয়ে ওঠে সৌন্দর্যময়।এই পাখির জন্য ভারত ও বিদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পর্যটকরা আসেন একসাথে ব্যারেজ ও পাখি দেখতে।পর্যটকদের কাছে আকর্ষনীয় পাখিদের রক্ষা,করতে বনদপ্তরের এই প্রয়াস।পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার্থে এই প্রয়াস যথেষ্ট ইতিবাচক।নেচার এন্ড এডভেঞ্চার ও নেচার এন্ড এডভেঞ্চার সোসাইটি বিভিন্ন সময়ে ও প্রতিবছর বন দপ্তর ও প্রশাসনের কাছে আবেদম করেছেন পাখীদের রক্ষার্থে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য।

    পরিবেশ প্রেমীদের দাবি এই ঘোষনায় লাভবান হবেন মৎজীবিরা। তিস্তা,নদীতে মাছের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে, যা,তাদের আয়ের রাস্তা আরও বেড়ে যাবে।তিস্তা নদীতে প্রচুর পরিযায়ী পাখি আসে।পাখিদের অন্যতম খাদ্য মাছ।নদীতে মাছের পরিনান বৃদ্ধি পেলে পাখির আগমনের সংখ্যাও বেড়ে যাবে।