|
---|
নতুন গতি ওয়েব ডেস্ক: সালটা ২০১৩, রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ‘লাভ জিহাদ’কে ব্যবহার করে প্রচারে নেমেছিল বিজেপি। উত্তরপ্রদেশের মুজাফফরনগরে লাভ জিহাদ প্রচারকে ঘিরে মুসলিদের বিরুদ্ধে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল ঘৃণা এবং ভয়ানক বিদ্বেষ। এর চূড়ান্ত পরিণাম ছিল মুজাফফরনগরে ভয়াবহ মুসলিম বিরোধী দাঙ্গা। এতে মারা গিয়েছিলেন ৬২ জন এবং ৫০ হাজারেরও বেশি মুসলিমকে বাস্তুচ্যুত হয়েছিল। কিছুদিন পর দাঙ্গা থেমে নিয়েছিল বটে কিন্তু বিজেপির প্রত্যাশা মতো সামাজিক বিভাজন ঘটে গিয়েছিল হিন্দু-মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে। পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে ধর্মের নামে যে ধ্রুবিকরণ ঘটেছিল, নির্বাচকে তার ফসল তুলেছিল বিজেপি। ফের একবার প্রচারের পরীক্ষিত হাতিয়ার হিসেবে বিজেপি ব্যবহার করতে শুরু করেছে লাভ জিহাদ।
রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট শুক্রবার লাভ জিহাদ প্রচারের জন্য তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন বিজেপির বিরুদ্ধে। গেহলট বলেন, গেরুয়া বাহিনী লাভ জিহাদকে কেন্দ্র করে প্রচার চালিয়ে দেশকে বিভাজিত করার চেষ্টা করছে যাতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট হয়। গেহলট কেন্দ্রের শাসকদলের বিরুদ্ধে এ অভিযোগও করেছেন যে তারা নাগরিকদের জীবনসঙ্গী বাছার বিষয়ে সংবিধানে প্রদত্ত ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করছে। বিজেপি এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে যেখানে প্রাপ্তবয়স্কদের ইচ্ছা-অনিচ্ছা রাষ্ট্রশক্তির উপর নির্ভরশীল হয়।
গেহলট বলেন, লাভ জিহাদ শব্দটি তৈরি করেছে বিজেপি দেশকে বিভাজিত করে সাম্প্রদায়িক সৌহার্দ্য নষ্ট করতে। প্রেমের পরিভাষায় জিহাদের কোনও ভূমিকা নেই। লাভ জিহাদ নিয়ে গেহলটের তীব্র সমালোচনার পর বিজেপি পালটা আক্রমণের পথ নিয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত দাবি করেছেন লাভ জিহাদ-এর কবলে পড়ে হাজার হাজার যুবতী মহিলা প্রতারিত হচ্ছেন। যদি এটা ব্যক্তি স্বাধীনতার বিষয় হয় তাহলে মহিলাদের নিজেদের ধর্মে থাকাটাই সমীচীন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, অশোকজি যদি বিয়ে ব্যক্তি স্বাধীনতার বিষয় হয় তাহলে পরে প্রমাণ হয় যে আসলে তা নয়। লাভ জিহাদের মাধ্যমে বিয়ে হলে কেন তাদের ধর্ম কিংবা নাম পরিবর্তন করতে হয়?