রুদ্রা ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের সাহায্যে এক মা পেলো সুবিচার অবশেষে

নিজস্ব সংবাদদাতা, নিউটাউন: অবশেষে ধরা পড়লো পূজা ও তার মা, সেই মা ও মেয়ে জুটি যারা দিনের পর দিন এক অবলা ছেলেকে মানসিক নির্যাতন করে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করে। রুদ্রা ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের, এক পুরুষ অধিকার সংগঠন, পরিশ্রম শেষে পেলো সুফল। কর্ণধার পার্থস্বারতি চক্রবর্তী ও তার সংগঠনের আইনজীবীরা সদ্য কোলশূন্য হওয়া এক মাকে পাইয়ে দিলো সুবিচার। এই জয় কলকাতার মাটিতে অন্যান্য পুরুষ অধিকার সংগঠনের মনেও জোগালো শক্তি ও আশার আলো। এবং তার সাথে নির্যাতিত পুরুষরাও পেলো বাঁচার এক আলো।

    আসল ঘটনা

    কলকাতার নিউটাউনে কাজিয়ালপাড়া এলাকার বাসিন্দা ধর পরিবার তাদের একমাত্র সন্তান ১৯ বছর বয়সী সঞ্জীবকে হারায় মাস দুয়েক আগে আর তার কারণ একটি সমবয়সী মেয়ের থেকে ভালোবাসায় প্রতারণা।

    মৃত সঞ্জীবের মা বাবা জানান যে তাদের ছেলে একলা ঘরে গলায় গামছা দিয়ে ঝুলে আত্মহত্যা করে। তারা এটাও জানায় যে যেই মেয়েটি তাদের পুত্রকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করেছে তার নাম পূজা। ভালো নাম দেবলীনা। তাদের বক্তব্য মেয়েটি তাদের পুত্রের সাথে সম্পর্কে থাকাকালীন কেসব নামে আরেকজন যুবকের সাথে সম্পর্কে জড়ায়। এমনকি মেয়ের মাও সঞ্জীবকে তার আর্থিক ক্ষমতার প্রমান দিতে বলে ৫০,০০০০ টাকা দিয়ে। পরিবারের বক্তব্য তারা পুলিশের থেকেও পায়নি কোনো খাস সাহায্য।

    সঞ্জীবের পিতা তার ছেলের লেখা সুসাইড নোট দেখান। আত্মহত্যার আগে সঞ্জীব সাফ লিখে যায় যে তার সঙ্গে প্রতারণা যারা করেছে তারা যেনো শাস্তি পায় আর কোনো মায়ের কোল যেনো এভাবে খালি না হয়।

    পরিবারের পাশে দাঁড়ায় পুরুষ অধিকার সংগঠন রুদ্রা ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন এবং তাদের মনে লড়াই করার সাহস জুগিয়ে প্রতিশ্রুতি দেন যে তারা প্রানপনে চেষ্টা করবে যাতে সেই প্রতারক মেয়ে, তার মা ও তার বর্তমান প্রেমিক জেলের ঘানি টানে। এলাকার বাকি বাসিন্দাদের নিয়ে রুদ্রা ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের সদস্যরা কাজিয়ালপাড়ার পথে প্রতিবাদে নামে।

    রুদ্রা ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের আইনজীবীদের বক্তব্য এখানে যেহেতু পুত্র সন্তান বলে কোনো প্রতিবাদের ঝড় নেই। এখানে সঞ্জীবের জায়গায় যদি পূজা আত্মহত্যা করতো তাহলে এতক্ষনে সঞ্জীব ও তার পরিবার জেলের ঘানি টানতো। তারা অনুরোধ করেন যে মানুষ যেনো এবার লিঙ্গ নিরপেক্ষ আইনের জন্য গর্জে ওঠে।