পুরুষদের উপর হেনস্তা নিয়ে আবার পথে নামলেন রুদ্রা ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন, অনুষ্ঠিত করলেন এক পথনাটিকা

নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: নারী দ্বারা পুরুষ নির্যাতন! শুনতে অবাক লাগে তাই না? তবে এটাই এখন বাস্তব। দিনদিন বেড়ে চলেছে ভারতবর্ষে পুরুষদের উপর নির্যাতন, নারীর দ্বারা। ডেলিভারি বয় থেকে ক্যাব ড্রাইভার সবাই শিকার হচ্ছে নারীর হাতে হেনস্তার। দেশে লিঙ্গ নিরপেক্ষ আইনের অভাবে বেড়ে চলেছে পুরুষ আত্মহত্যার হার।

    তাই এই ৭৫তম স্বাধীনতা দিবসে রুদ্রা ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন নামে এক পুরুষ অধিকার সংগঠন চন্দননগরের স্ট্র্যান্ড রোডে একটি মেলোড্রামা অনুষ্ঠিত করে উত্তরপ্রদেশের লকনৌতে এক ক্যাব ড্রাইভারের উপর হওয়া হেনস্তা নিয়ে। ক্যাব ড্রাইভারের ভূমিকায় অভিনয় করেন সুমিত সিংহ আর যুবতির ভূমিকায় অভিনয় করে শ্রেস্ঠা ব্যানার্জি।

    তার আগে জানা যাক কি হয়েছিল উত্তরপ্রদেশের লকনৌতে। কিছু দিন আগেই সোশাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল হয়,যাতে দেখা যায় লক্ষ্ণৌ তে একটি ক্যাব ড্রাইভার কে প্রিয়দর্শিনী যাদব নামে এক যুবতি একের পর এক থাপ্পর মেরে চলছে।  22 টির উপর থাপ্পর ঐ ক্যাব ড্রাইভার কে মারে ঐ যুবতি প্রকাশ্য রাজপথে। উল্টে এই ঘটনার পর ঐ ক্যাব ড্রাইভারটিকেই পুলিশ গ্রেফতার করে। বিনা অপরাধে, সবচেয়ে বড়ো ব্যাপার কারোর প্রাণ বাঁচিয়েও, হেনস্তার শিকার হতে হয় সেই ক্যাব ড্রাইভারকে।

    সংগঠনের হুগলী জেলা সভাপতি বিবেকানন্দ সেনগুপ্তর বক্তব্য “রুদ্রার পথনাটিকা শুরু মাত্র্যেই কিছু নবীন যুবক আমাদের প্রতীকী প্রিয়দর্শিনী যাদব কে  আক্রমণে উদ্যোগী হন, কিন্তু পরে বুঝতে পারেন পথনাটিকা চলছে, অর্থাৎ দেখুন, রুদ্রা এই যে প্রচার / সচেতনতা চালাচ্ছে, তাতে কিন্তু অনেকমানুষ সচেতন হচ্ছে। আসল কথা হলো বর্তমান আধুনিক শিক্ষিত নারী আইনের সাহায্যে যা না তাই করে বেড়াচ্ছে। ক্যাব ড্রাইভার, খাদ্য সর্বরোহকারী কর্মী নয়, আমার আপনার বাড়ির বধূ ব্যাতিত যেকোনো নারী ও পুরুষরা যেকোনো সময় যেকোনো ভাবে ফেঁসে যেতে পারেন। ভারতের পুরুষবিরোধী আইন মেয়েদের হাতে অপার, একপেশে ক্ষমতা দিয়েছে, পুরুষটিকে আইনে ফাঁসিয়ে তার জীবন নষ্ট করে দেবার! আমরা দেখেছি কোর্টে প্রমাণিত পুরুষটি নির্দোষ কিন্তু তবুও নারীর শাস্তি কিন্তু প্রদান করা হয়নি  – যেহুতো আইনের বই তে নারীদের জন্য আলাদা ভাবে সুরখ্যার কথা বলা আছে।”

    তিনি আরো বলেন “ভালোভাবে লক্ষকরলে আমরা আমাদের চার পাশেই হয়তো অনেক পুরুষ পাব, যারা নিত্য তার পরিবার পুরুষ ও নারী সহ অনেক আত্মীয় বা সম্পর্কের ভিত্তিতে অনেক অনাত্মীয়, যেমন- শিক্ষিকা, অফিসপ্রধান, বাড়ীওয়ালী, বান্ধবী, প্রেয়সী সহ আরো অনেকের দ্বারা কখনো প্রত্যক্ষ, কখনো বা পরোক্ষভাবে প্রতিনিয়ত মানসিক এমন কি কিছু ক্ষেত্রে শারীরিকভাবেও নির্যাতন ও নিপীড়নের মুখোমুখি হয়ে চলেছেন। কিন্তু তাদের অনেকেই নিজের পুরুষত্বকে নিষ্কলুষ রাখতে, পারিবারিক সন্মান,  লোকলজ্জায়, কিছু হারানোর ভয়ে, আইনের অভাবে মুখ খুলতে পারছেননা,  কারো সাথে তাদের মনের ভিতরে বয়ে চলা ঝড়টিকে ভাগাভাগি করে নিতে পারছেন না।”

    তিনি সাংবাদিকদের জানান যে সরকারের কাছে রুদ্র ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন এর আর্জি, এই বিষয়টা নিয়ে চর্চা যেনো বেশি করে হয় এবং বলেন যে তারা প্রচুর সামাজিক কাজের সাথে যুক্ত, পুরুষ নারী নির্বিসারে আইনি সাহায্য তথা মানসিক শক্তি দৃঢ় করতে সাহায্য করে। তাদের থেকেও দরকার মতো সাহায্য পাওয়া যেতে পারে, “শুধু পীড়িত পতি নয় যে কোনো পুরুষ / নারী কোনো ভাবে প্রতারিত হলে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। সুস্থ সমাজ গঠনের লক্ষ্যে আমরা বদ্ধ পরিকর”

    সপ্তাহখানেক আগেও বিবেকানন্দ বাবু শুভদীপ মিস্ত্রি নামের এক মৃত যুবকের পরিবারের পাশে দাঁড়ান। তাদের ছেলে যাতে সুবিচার পায় তার জন্য তিনি পথে নেমে মোমবাতি মিছিল করেন। তিনি সমাজে পুরুষ নির্যাতনের বিষয় সচেতনতা বাড়িয়ে চলেছেন এবং চালিয়েও যাবেন।