|
---|
বাইজিদ মন্ডল, ডায়মন্ড হারবার: আজ SUCI(C) দলের পলিটব্যুরোর প্রবীণ সদস্য ও দঃ২৪ পরগণা জেলা কমিটির প্রাক্তন সম্পাদক এবং ৭ বারের বিধায়ক দেবপ্রসাদ সরকারের স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হল জয়নগর শচীন ব্যানার্জি সুবোধ ব্যানার্জি মেমোরিয়াল ট্রাস্ট ময়দানে।
এই স্মরণ সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ও দলের সাধারণ সম্পাদক প্রভাস ঘোষ,এছাড়া উপস্থিত ছিলেন তরুণ নস্কর রাজ্য সম্পাদকমন্ডলী সদস্য এস ইউ সি আই (কমিউনিস্ট) সহ আরও অন্যান্য বিশিষ্ঠ জনেরা।দলের সাধারণ সম্পাদক প্রভাস ঘোষ বলেন,জীবনে কঠিন ও কঠোর সংগ্রাম করে জনপ্রিয়তার শীর্ষে তিনি উঠেছিলেন। প্রয়োজনের অতিরিক্ত ২টি কথা বলতেন না। সেই মানুষটি কঠিন সংগ্রাম করে এই পর্যায়ে উঠেছিলেন। বিরামবিহীন সংগ্রাম চালিয়ে এইভাবে এগিয়ে চললেই এটা সম্ভব। স্বাধীনতা আন্দোলনের যুগের যুগান্তর দলের নেতা শচীন ব্যানার্জী ও সুবোধ ব্যানার্জীর সংস্পর্শে এসে শিবদাস ঘোষের চিন্তার দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি এই দলের সংগে যুক্ত হন।১৯৭৪ সালে সুবোধ ব্যানার্জীর প্রয়াণের পর ১৯৭৭ সালের নির্বাচনে তাঁকে পার্টি প্রার্থী করে। তাঁকে দেখে মানুষ দেখেছেন শুভ্র, নিষ্কলঙ্ক মানুষ হিসাবে।বিধানসভায় বলার বেশি সময় পেতেন না। ১-২ মিনিটের মধ্যে সরকারের জনবিরোধী নীতির মুখোশ খুলে দিতেন।এখন বিধানসভা কলুষিত, হাতাহাতি,গালাগালি হয়, কদর্য পরিস্থিতি। তাঁর মৃত্যুর পর কয়েকজন সাংবাদিক তাঁর স্মৃতিতে লিখেছেন, কী অগাধ শ্রদ্ধা। কেউ লিখেছেন, তিনি একা নন, একশ লোকের প্রতিনিধি ছিলেন। তাঁকে দেখে বোঝা যায় আদর্শের প্রতি নিষ্ঠা থাকলে কী করা যায়। তাঁর দায়িত্ববোধ দেখলে শ্রদ্ধা জাগে, দৃপ্ত বলিষ্ঠ কন্ঠস্বর।
কমরেড শিবদাস ঘোষের চিন্তার বলেই এটা সম্ভব হয়েছে। ভাষা শিক্ষার দাবিতে আন্দোলন, নন্দীগ্রাম সিঙ্গুরের আন্দোলনে তিনি বলিষ্ঠ ভূমিকা নিয়েছেন।
প্রচুর প্রশংসা পেয়েছিলেন, কিন্তু কোথাও অহংকার থাকত না, কোন ব্যক্তি সম্পত্তি ছিল না,বিধানসভার বেতন ভাতা পার্টিকে দিতেন। ট্রেনে যেতেন, ট্রেনে ফিরতেন। যাত্রীরা বসার জায়গা করে দিতেন,অত্যন্ত সাদাসিধা সাধারণ জীবন। নিজের কাপড় জামা নিজে পুকুর ঘাটে কাচতেন। এই সৃষ্টি কমরেড শিবদাস ঘোষের শিক্ষার বিরল দৃষ্টান্ত।