উমলিঙ্গ লা যা উচ্চতায় ১৯ হাজার ফুট , জয় করে বিশ্বের প্রথম মহিলা সাইক্লিস্টের খেতাব জয় করলেন তারকেশ্বরের সবিতা মাহাত

নিজস্ব সংবাদদাতা : বিশ্বের উচ্চ শৃঙ্গের অন্যতম উমলিঙ্গ লা যা উচ্চতায় ১৯ হাজার ফুট , জয় করে বিশ্বের প্রথম মহিলা সাইক্লিস্টের খেতাব জয় করলেন তারকেশ্বরের সবিতা মাহাত। ইতিমধ্যেই২০১৭ সাল থেকে সাইকেল নিয়ে গোটা দেশ ঘুরে নজির সৃষ্টি করেছেন তিনি।তারকেশ্বরের ভঞ্জিপুর গ্রামের সবিতা মাহাত তিনবার জাতীয় স্তরে ভলিবল চ্যাম্পিয়নও। কিন্তু ভলি খেলার থেকেও অ্যাডভেঞ্চারের নেশা তার বেশি।কলেজে ভূগোল নিয়ে পড়ার সময় থেকেই পাহাড় তাকে টানে। তার বরাবর ইচ্ছা ছিল পর্বতারোহণের।তাই শুরু হয় খোঁজ খবর করা। নেট সার্চ করে হাওড়ার পর্বতারোহী ছন্দা গায়েনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি। বাবার অনুমতি নিয়ে ছন্দা গায়েনের পরামর্শে হিমালয়ান মাউন্টেনিয়ারিং ইন্সটিটিউট( HMI) এ ভর্তি হয়ে প্রশিক্ষণ নেন।তারপরই একে একে সাতটা শৃঙ্গ জয়। যদিও তার লক্ষ ছিল এভারেস্ট জয়। কিন্তু কোথায় পাবেন স্পনসর, কী ভাবেই বা পাবেন এভারেস্টে ওঠার ছাড়পত্র? সে সব খোঁজ নিতে গিয়ে সবিতা জানতে পারেন কিছু স্পেশাল দরকার যা হলে তাকে এভারেস্টে ওঠার ছাড়পত্র দিতে পারে। শুরু হয় সবিতার নতুন লড়াই সাইকেল নিয়ে।

    কখনও বেটি বাঁচাও, কখনও গঙ্গা বাঁচাও অভিযানে সাইকেল চালিয়ে একে একে ২৯ টা রাজ্য ঘুরে ফেলেন সবিতা। পুরষ্কার জুটেছে অসংখ্য। বেস্ট সাইক্লিস্ট এর ওয়ার্ল্ড বাজরা রেকর্ড তার হাতে।কিছুদিনের বিরতির পর ২০১৯ সাল থেকে এশিয়ার দেশ গুলো সাইকেল নিয়ে ঘুরতে বেরিয়ে পড়েন তিনি।২০২১ এ ট্রান্সহিমালয় (Transhimalaya) জয় করে শ্রুতি রাউৎ এর সাথে যুগ্ম ভাবে দেশের প্রথম মহিলা সাইক্লিস্টের খেতাব অর্জন করেন সবিতা।এর পর ২০২২ সে ৫ ই জুন দিল্লি থেকে সাইকেল নিয়ে উমলিঙ্গালার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। গত ২৮ জুন বিশ্বের অন্যতম উচ্চ মোটরেবেল পাস জয় করে বিশ্বের প্রথম মহিলা সাইক্লিস্টের খেতাব জয় করেন সবিতা।এভাবে একা একা সাইকেল নিয়ে ঘুরে বেড়িয়ে বার বার একটাই বার্তা দিতে চাইছেন সবিতা,মেয়েরাও ইচ্ছা করলে সব করতে পারেন। মেয়েরা নিরাপদ নয় এটা তিনি ভুল প্রমাণ করেছেন। সবিতা বলেন, মহিলারা এখন অনেক এগিয়েছে। আমি চাই আরও এগিয়ে দেশের নাম উজ্জ্বল করুক আমার দেশের মেয়েরা। তার লক্ষ পূরনের জন্য লড়াই চালিয়ে গেছেন বাবা চৌহান মাহাতও। সামান্য মাছ ব্যবসায়ী চৌহান মাহাত। আর্থিক সমস্যা আছে,তবু মেয়ের পাশে দাঁড়িয়েছেন। মেয়ের স্বপ্ন পূরনে সব রকম সাহায্য করে চলেছেন।