|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা : হুগলি জেলার চন্দননগরে রয়েছে সাধুচরণ স্মৃতি বিদ্যাপীঠ জুনিয়র হাই স্কুল। যদিও তাকে স্কুল না বলে আগাছার জঙ্গল বলেন স্থানীয়রা। স্কুলের চারিদিকে বড় বড় গাছ আর জঙ্গলে ভর্তি। রয়েছে সাপের আতঙ্ক। রাত হলেই সমাজবিরোধীদের আখড়া তৈরি হয় ওই স্কুলটি। প্রশাসনের উদাসীনতায় জরাজীর্ণ অবস্থায় চন্দননগরের ওই বিদ্যালয়।
স্বাধীনতার আগে স্থাপিত হয়েছিল এই বিদ্যালয়। দীর্ঘদিন ধরেই এই স্কুলে নীচের তলায় প্রাথমিক ও দোতলায় চলত জুনিয়র হাই বালিকা বিভাগ। দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে জুনিয়র হাইতে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা একেবারে শূন্য। স্কুলে রয়েছেন মাত্র দু’জন শিক্ষিকা। পড়াশোনার বালাই নেই। তাই মাঝে মাঝে শিক্ষিকারাও ডুমুরের ফুল হয়ে যান।অন্যদিকে, প্রাইমারি বিভাগে বর্তমানে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা মাত্র পাঁচ। স্কুলে শিক্ষক রয়েছে তিনজন। প্রাথমিক স্কুলটি ও প্রায় বন্ধ হয়ে যাওয়ার মুখে দাঁড়িয়ে। শহরের এই স্কুল এই পরিস্থিতি নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা নানান অভিযোগ তুলেছেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, স্কুল চত্বর জঙ্গলে ভরে গিয়েছে। রাতে সমাজ বিরোধীদের আস্তানায় পরিণত হয় স্কুলটি। স্থানীয় এক বাসিন্দার দাবি, জুনিয়র হাই স্কুলকে মাধ্যমিক স্তরে উত্তীর্ণ করার ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন শিক্ষা দফতরের। তাহলে এই স্কুলের মাধ্যমিক স্তরে উত্তীর্ণ হওয়ার পর ছেলেমেয়েরা পরবর্তী পড়াশোনার জন্য অন্য কোনও স্কুলে না গিয়ে এই স্কুলে পড়াশোনা করতে পারবে। তাতে এই স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যা বাড়বে ও বাঁচানো যাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও।চন্দননগরের ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও এই স্কুলের পরিদর্শক অভিজিৎ সেন জানান, হুগলি জেলার শিক্ষা পরিদর্শকের নজরে রয়েছে এই স্কুল। স্কুলে তিন জন শিক্ষক আছেন। জুনিয়র হাই স্কুলের দু’জন শিক্ষিকা আছে। কোনও পড়ুয়া নেই। সংশ্লিষ্ট দফতরের বারংবার জানিয়েও কোনও স্থায়ী সুরাহা হয়নি। তিনি আরও জানান, বর্তমানে অভিভাবকদের মনে ইংরেজি মাধ্যমের স্কুল নিয়ে কোনও এক অদৃশ্য মুগ্ধতা তৈরি হয়েছে। যার ফলে মার খাচ্ছে বাংলা মাধ্যমের স্কুলগুলি। কী ভাবে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যা বাড়ানো যায় তা নিয়ে অভিযান চালানো হয়েছিল ইতিমধ্যেই। আগামী দু-বছরের মধ্যে স্কুল যাতে পুরনো ছন্দে ফিরে আসে তা নিয়ে তৎপর স্কুল কর্তৃপক্ষ। এই স্কুলকে নিয়ে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বারংবার আলোচনায় বসা হয়েছে। জেলা প্রশাসন যে রকম নির্দেশ দেবে সেই অনুযায়ী কাজ হবে।