স্বাধীনতা দিবসে একই দিনে জন্ম হওয়ায় ঋষি অরবিন্দ, সুকান্ত ভট্টাচার্যকে স্মরণ করলো স্বজন।

লুতুব আলি, নতুন গতি, ১৫ আগস্ট : স্বাধীনতা দিবসে একই দিনে জন্ম হওয়ায় ঋষি অরবিন্দ, সুকান্ত ভট্টাচার্যকে স্মরণ করলো স্বজন। দুজনেরই পরাধীন ভারতে জন্ম। একজন অগ্নিযুগের মহানায়ক, সিদ্ধ যোগী ঋষি অরবিন্দ ঘোষ। অন্যজন প্রতিবাদী কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য। ঋষি অরবিন্দ ঘোষের জন্ম ১৮৭২ সালের ১৫ আগস্ট। আর কিশোর কবির ১৯২৬ সালের ১৫ আগস্ট। দেশব্যাপী স্বাধীনতা দিবস অনুষ্ঠানের জৌলুসে দুজনের ই জন্মদিন বিশেষভাবে সেরকম পালন হওয়া দেখতে পাওয়া যায় না। হাওড়া বাগনানের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা স্বজন এ ব্যাপারে উদ্যোগী হয়ে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানের সঙ্গে ঋষি অরবিন্দ ঘোষ ও কিশোর কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের জন্মদিন পালন করল। স্বজনের সম্পাদক চন্দ্রনাথ বসু এই মহতী অনুষ্ঠানে দুই বরেণ্য ব্যক্তির জন্মদিন পালন করায় তিনি প্রশংসিত হন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ঋষি অরবিন্দ ঘোষ সম্পর্কে প্রশস্তি রচনাতে লিখেছিলেন : দেবতার দীপ হস্তে যে আসিল ভবে সেই রুদ্র দূতে, বলো, কোন রাজা কবে পারে শাস্তি দিতে, বন্ধন শৃংখল তার চরণ বন্দনা করি করে অভ্যর্থনা …. লন্ডনের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ট্রাই পস পাস করে এসে তিনি লোভনীয় চাকরি ছেড়ে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে যোগ দেন। কিশোর কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য মাত্র একুশ বছর বয়সে মারা যান। তাঁর সহিষ্ণু প্রতিভার দ্বারা সামাজিক অন্যায়, অবিচার, শোষণ, বঞ্চনা, সাম্রাজ্যবাদীদের শোষণ-পীড়ন ফ্যাসিবাদী সন্ত্রাস অত্যাচারের বিরুদ্ধে সুকান্ত ভট্টাচার্যের লেখনি গর্জে উঠেছিল। এই দুই মহামানবের বর্ণময় দিকগুলি নিয়ে বাগনানের কাছারি পাড়াতে স্বজনের অনুষ্ঠানে আলোকপাত হলো। এদিনের অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাবলু কুমার দে, আজিজুল বেগ, মইনুদ্দিন বেগ, দেলুয়ার মল্লিক, সুনীল চ্যাটার্জী, শেখ ইদ্রিস, সানোয়ার বেগ, শেখ আসির উদ্দিন, কৃষ্ণপদ রায়, শচীন ঘোষাল শচীন ঘোষাল। সংগীত পরিবেশন করেন তপতি লোদাস, অসীমা দাস, সাবিনা বেগম। উল্লেখ্য এদিন রেড ক্লিপার সৌজন্যে এখানে বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবির অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠান মঞ্চে চন্দ্রনাথ বসু কার্তিক ধারাকে সংবর্ধনা দেন। তিনি দীর্ঘ ৫০ কিলোমিটার পথ জয়পুর থেকে গাদিয়াড়া সাইকেলে জাতীয় পতাকা নিয়ে সম্প্রীতির বার্তা দিতে দিতে যাচ্ছেন।