সন্ধের একটি ঘটনায় এক নিমেষে পাল্টে গেল সাইফুল মন্ডলের জীবন

নিজস্ব সংবাদদাতা : ভোরে উঠেই যেতে হল সবজি তুলতে। সবজি নিয়ে তারপর রেল স্টেশনের ছোট্ট দোকানে। তারপর দিনভর চলত বেচা-কেনা। সেই টাকা দিয়েই উঠত সংসারের খরচ। এই ভাবেই এতদিন ধরে দিন গুজরান হতো উত্তর ২৪ পরগনার হাবরার সাইফুল মন্ডলের। বুধবার সন্ধের একটি ঘটনায় এক নিমেষে পাল্টে গেল জীবন। দিন আনা দিন খাওয়ার লড়াইয়ের ময়দান থেকে একেবারে কোটিপতি। মাত্র ৩০ টাকার টিকিটের প্রথম পুরস্কার জিতে নিয়েছেন সাইফুল মন্ডল।সাইফুল মন্ডল উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হাবরা থানার কুমড়া পাঁচঘরিয়া এলাকার বাসিন্দা। পেশায় সবজি বিক্রেতা। অশোকনগর রেল স্টেশনে একটি ছোট্ট সবজির দোকান রয়েছে সাইফুলের। দীর্ঘদিন দারিদ্রতার সঙ্গে লড়াই করেই কেটেছে জীবন। বাবা, মা, ছেলে, মেয়ে নিয়ে মোট সাত জনের সংসার। গোটা দায়িত্বই রয়েছে তাঁর কাঁধে। এবার আশার আলো। মিটবে অর্থকষ্ট। দীর্ঘদিন ধরে কষ্ট করে চলেছে সংসার। ভোর থেকে রাত পর্যন্ত চলেছে জীবনের লড়াই। ঝড়, বৃষ্টি হোক বা অন্য কোনও সমস্যা, পেট চালাতে গেলে বেরোতেই হতো কাজে। সেই সমস্যা এবার কেটে গেল। যা টাকা পুরস্কার মিলেছে তাতে আগামী জীবন ভালভাবেই কেটে যাবে বলে ধারণা তাঁর।বুধবার সন্ধ্যায় কুমড়া বাজারের একটি লটারি ব্যবসায়ীর দোকানে শেষ পর্যন্ত একটি টিকিট পড়েছিল। শেষ পর্যন্ত জোর করে ওই লটারি বিক্রেতা সাইফুলকে দিয়ে দেন ওই লটারি টিকিট। বৃহস্পতিবার সকালে বাজারে গিয়ে জানতে পারে সেই লটারির টিকিটেই প্রথম পুরস্কার উঠেছে। আর তার অর্থমূল্য এক কোটি টাকা। মাঝেমধ্যে লটারি কিনতেন নিজের ভাগ্য পরীক্ষা করবেন বলে, সেই লটারি যে ভাগ্য ফিরিয়ে দেবে তা সাইফুল মন্ডল কল্পনাও করতে পারেননি। লটারি নিয়ে হাবরা থানায় হাজির হয়েছেন সবজি বিক্রেতা। সাইফুল কিছুটা ভয়েই লটারি নিয়ে থানায় হাজির হয়েছে। সাইফুল জানিয়েছেন, ওই বিক্রেতা কার্যত জোর করেই লটারি আমাকে দিয়েছিলেন, আর সেই লটারিতে পুরস্কার পেয়ে আনন্দে আত্মহারা পরিবারের সকলে।সাইফুল দাবি করেন ভবিষ্যতে বাড়ি তৈরি করবেন তিনি। ওই টাকার কিছুটা দিয়ে জমি কিনবেন। বাদবাকি টাকা তুলে রাখবে ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা ঠিকমতো করার জন্য। বেশ কিছু টাকা ছেলে-মেয়ের ভবিষ্যতের জন্য তুলে রাখবেন।