|
---|
নতুনগতি,কলকাতাঃ নিজস্ব প্রতিবেদন
সরকারি নন,বেসরকারি প্রযুক্তিগত কোম্পানিতে কর্মসংস্থান। তবে তিনি একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্ণধার। করোনায় লকডাউন ঘোষনার পর থেকেই পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তে দুর্গত ও অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়েছেন দূর থেকেই।
লকডাউনের দ্বিতীয় দফায় মালদহের চাঁচলে একাধিক বার দূর থেকে বসেই শতাধিক পরিবারের মাঝে আহার জুটিয়েছেন ওই সমাজসেবীকা। এমনকি আমফান ঝড়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে গোটা দক্ষিনবঙ্গ। সেখানেও শতাধিক দূর্গত পরিবারের মাঝে খাদ্য দ্রব্য পৌঁছে দিয়েছেন তিনি। ৩০ বছর বয়সী সায়নী ভট্টাচার্য্য কলকাতার কালিঘাটের বাসিন্দা।
উল্লেখ্য ১০ ই জুলাই আমাদের নতুনগতি সংবাদমাধ্যমে মালদহের চাঁচল ১ নং ব্লকের খরবা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিলাইডাঙী গ্রামের এক সন্তানহীন পরিবারের দুর্দশার প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সায়নী জানান, পত্রিকায় তাদের অভাবের কথা জানতে পেরে কিছু আর্থিক সাহায্য পাঠিয়েছি কারো মারফতে। ৪০০ কিমি দূর থেকেই বিলাইডাঙীর সন্তান হীন দম্পতি গোলাম মোস্তফা ও মনসূরা বিবির পাশে দাড়িয়ে সায়নী মানবিক নজির গড়েছেন চাঁচলে।
এমনকি তিনি আরোও বলেন, যতদিন ওরা বেঁচে থাকবে বা আমি বেঁচে থাকব স্থায়ীভাবে প্রতিমাসে সব্জী-বাজারের খরচ পৌঁছে দিব তাদের বাড়ীতে। তাদের কোনো সন্তান নেই, আমি তাদের কাছে সন্তান হিসেবে টাকা পাঠাব। সাহায্য দাতাকে স্বচক্ষে না দেখলে আর্থিক সাহায্য পেয়ে ওই অসহায় দম্পতি আশির্বাদ করেছেন রেঁনেশাশের কর্নধার সায়নী ভট্টাচার্য্যকে।
তবে সংবাদমাধ্যমে খবর দেখে ব্লক প্রশাসন ও স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রশাসন দাড়িয়েছেন ওই পরিবারের পাশে বলে খবর। গোলাম মোস্তফার বিকালাঙ্গ ভাতা শূরূ করার জন্য প্রক্রিয়া চলছে এবং ব্লকে স্কীম থাকলে পাকাবাড়ী শীঘ্রই করে দেওয়া হবে বলে ব্লক প্রশাসন সূত্রের খবর।