বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র সম্বিৎ পাত্রের টুইটকে ‘ম্যানিপুলেটেড মিডিয়া’র তকমা দিল টুইটার কর্তৃপক্ষ

নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: বিজেপি ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) ভাবমূর্তি নষ্ট করতেই করোনা পরিস্থিতিতে কেন্দ্রকে অযথা দোষারোপ করতে চাইছে কংগ্রেস (Congress)। এবং এটা করা হচ্ছে একটি টুলকিটের (Toolkit) সাহায্যে। এমনই অভিযোগ এনেছিলেন বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র সম্বিৎ পাত্র (Sambit Patra)। এবার তাঁর সেই সংক্রান্ত টুইটকে ‘ম্যানিপুলেটেড মিডিয়া’র তকমা দিল টুইটার (Twitter) কর্তৃপক্ষ।

    এর আগে কংগ্রেসের তরফে টুইটারের সদর দপ্তরে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল ওই টুইট সম্পর্কে। তাতে দাবি করা হয়েছিল, বিজেপি নেতার শেয়ার করা টুলকিটটি ভুয়ো। প্রসঙ্গত, আরও এক সংবাদমাধ্যমের ‘ফ্যাক্ট চেক’-এর মাধ্যমেও এই দাবিই করা হয়েছিল। এবার টুইটার কর্তৃপক্ষও এই পদক্ষেপ করায় নিঃসন্দেহে মুখ পুড়ল বিজেপির।

    ঠিক কী দাবি করেছি‌লেন সম্বিৎ? ওই টুলকিটের বেশ কয়েকটি স্ক্রিনশট শেয়ার করে তিনি দাবি করেছিলেন, এই সেই টুলকিট গোপন অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে অতিমারী নিয়ন্ত্রণে মোদি সরকারকে কাঠগড়ায় তোলার ষড়যন্ত্র করছে কংগ্রেস। তিনি রীতিমতো ব্যঙ্গ করে লেখেন, ‘‘বন্ধুরা দেখুন, কংগ্রেসের টুলকিট কীভাবে অতিমারীর সময়ে অভাবীদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে।’’

    প্রসঙ্গত, গত এপ্রিল থেকে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় বেসামাল দেশ। আর দেশের করোনা পরিস্থিতি সামলাতে কেন্দ্রের ব্যর্থতা তথা নরেন্দ্র মোদিকেই দায়ী করেছে বিদেশি মিডিয়াগুলি। গেরুয়া শিবিরের দাবি, এর পিছনে রয়েছে কংগ্রেসের চক্রান্ত। তারাই গোপনে টুলকিটকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেছে। ওই টুলকিটটিতে কংগ্রেসের লোগোও নাকি রয়েছে। টুলকিটে নাকি বলা হয়েছে, করোনার ভারতীয় স্ট্রেনকে ‘মোদি স্ট্রেন’ লেখা হোক। সেই সঙ্গে মহাকুম্ভকে ‘সুপার স্প্রেডার’ হিসেবেও বারবার উল্লেখ করতে হবে। কেবল সম্বিৎ পাত্রই নন, পরে টুলকিট নিয়ে টুইট করেন বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি, বিজেপি নেতা বিএল সন্তোষ।

    এবার সম্বিতের সেই টুইট নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করল টুইটার। প্রসঙ্গত, ‘ম্যানিপুলেটেড মিডিয়া’ হিসেবে দেগে দেওয়ার অর্থই হল সেই পোস্টটি ভুয়ো অথবা যা থেকে অন্য কারও ক্ষতি হতে পারে। এর আগে আমেরিকার নির্বাচনের সময় ডোনাল্ড ট্রাম্পের টুইটগুলিকেও এই তকমা দেওয়া হয়েছিল। নিঃসন্দেহে টুইটারের এই পদক্ষেপে অস্বস্তি বাড়ল গেরুয়া শিবিরের।